ইতিহাস বিকৃতি : আইন করার প্রস্তাব পাস
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা নিয়ে ইতিহাস বিকৃত করলে শাস্তির জন্য আইন করার একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এটি পাস হয়।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুননেসা বাপ্পির এ সংক্রান্ত বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। বাপ্পি তার প্রস্তাবে বলেন, সংসদের অভিমত এই যে, গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারীদের শাস্তির জন্য আইন প্রণয়ন করা হোক।
এই প্রস্তাবের ওপর ৯জন সংসদ সদস্য সংশোধনী দেন। তাদের প্রত্যেকেই প্রস্তাবের আগে ‘অবিলম্বে’ এবং ‘জরুরি ভিত্তিতে’ শব্দটি সংযোজন করার প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবটির ওপর আলোচনা শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা গ্রহণ করেন। তবে সংশোধনীগুলো গ্রহণ করা হয়নি।
এসময় আনিসুল হক বলেন, ‘আমি একটি সুখবর দিতে চাই, এ সংক্রান্ত আইনের একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন’ শিরোনামের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। অনতিবিলম্বে মন্ত্রিসভায় উঠবে। এই সংসদের বয়সকালে পাস হবে।’
এই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর ১০ জন সংসদ সদস্য সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। পরে সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। আইন সভায় কোনো প্রস্তাব গ্রহণ হলে নির্বাহী বিভাগ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার সংসদের বেসরকারি সদস্য দিবসে আরও তিনটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন