সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে আসছেন দক্ষিণ এশীয় নেতারা

‘দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট’ এর উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের শীর্ষ নেতারা।

পাকিস্তান বাদে দক্ষিণ এশিয়ার অপর ছয় রাষ্ট্রের সরকার প্রধানের সঙ্গে ভিডিও করফারেন্সে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগেই উৎক্ষেপণ করা হবে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট। সাত জাতির জন্য স্যাটেলাইট ছুটে যাবে মহাকাশে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে। এই উদ্যোগের মুখ্য ভূমিকা পালনকারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগ দেবেন দিল্লি থেকে। আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন নিজ নিজ অবস্থান থেকে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর নেতারা তাদের বক্তব্যও রাখবেন ভিডিও কনফারেন্সে।

এই স্যাটেলাইটের মূল উদ্যোক্তা ভারত। আর একে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ভারতের একটি উপহার হিসেবেই দেখা হচ্ছে। গত মার্চে এক চুক্তির মাধ্যমে এই স্যাটেলাইটে নিজেদের নাম সংযুক্ত করতে সম্মত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দক্ষিণ এশিয়ার আরো পাঁচ দেশের শীর্ষ নেতারা। তবে এর সঙ্গে নেই দক্ষিণ এশীয় দেশ পাকিস্তান।

এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের নানা ফিচার সম্পর্কে যতটুকু ধারণা পাওয়া গেছে তাতে এর ১২টি অংশ থাকবে। যার একটি অংশ নির্দিষ্ট থাকবে বাংলাদেশের জন্য। উপগ্রহের মতো মহাকাশে বিচরণ করে এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশকেও দেবে পৃথিবীর নানা তথ্য।

বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। তবে তার আগেই দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের হিস্যা থেকে উপকৃত হবে দেশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সার্ক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দেন এবং সার্কের অন্য সাতটি দেশকে বিনা অর্থে এর সুবিধা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। তবে ভারতের এ স্যাটেলাইট বানানোর জন্য বিজ্ঞানী এবং অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু ভারত তাদের সহযোগিতা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে পাকিস্তান এই ইস্যুতে সরে দাঁড়ালে এটি সার্ক স্যাটেলাইটের বদলে দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট হিসেবে নামকরণ করা হয়।