ইমরানের ভোটের প্রচারে বিপ্লব এনেছিল মোবাইল অ্যাপ

পাকিস্তানের নির্বাচনী প্রচারে ইমরান খানের বড় ধরনের সাফল্যের পেছনে ছিল একটি মোবাইল অ্যাপ ও পাঁচ কোটির বেশি ভোটারের তথ্য। এই দুটো জিনিসকে হাতিয়ার করেই তিনি সাধারণ মানুষের মধ্যে তার পক্ষে ঝড় তুলতে পেরেছিলেন।

সাবেক ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান অ্যাপের সাহায্যে সহজেই জনসাধারণণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন।

বিরোধী পক্ষ যাতে অনুকরণ করতে না পারে সেজন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচারের নতুন এ পন্থা সুকৌশলে গোপন করতেও সক্ষম হয়েছে পিটিআই।

এই অ্যাপ ব্যবহার করে কীভাবে নির্বাচনী প্রচারে বিপ্লব এনেছে দলটির কয়েকজন কর্মী তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেখিয়েছেন।

কন্সটিটিউনসি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) নামে ওই অ্যাপটি নিয়ে কাজ করা পিটিআই দলের প্রধান বহার আমির মুঘল বলেন, এটি দারুণ কাজ করেছে।

পিটিআই এর টিকেট নিয়ে ইসলামাবাদে জয়লাভ করা আসাদ উমরের ব্যক্তিগত সহকারী আমির। আসাদ পাকিস্তানের হবু অর্থমন্ত্রী বলে জানায় রয়টার্স।

আমিরের নেতৃত্বেই ছোট একটি দল সিএমএস অ্যাপ নিয়ে কাজ করেছে। সিএমএস ইউনিট অত্যন্ত গোপনে পুরো পাকিস্তান জুড়ে কাজ করেছে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গেছে, ভোটারদের কাছ থেকে পিটিআইকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছে, তাদেরকে অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং ভোটের দিন তারা যেন ভোট দিতে যান তাও নিশ্চিত করেছে।

ভোট গ্রহণের সময় শেষ হওয়ার পর পিটিআই প্রার্থী আমির রয়টার্সকে বলেন, ওই অ্যাপের কারণে আমরা কয়েক দিনের কাজ এক বা দুই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে পেরেছি। ইমরান খান একে বিপ্লব বলে বর্ণনা করেছেন।

গত ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে পিটিআই ১১৫টি আসনে জয়লাভ করেছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও দলটি ছোট দল ও স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।

আগামী ১১ আগস্ট ইমরান পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে পারেন।