‘ইয়াস’র চোখ ভারতে : আঘাত হানবে বুধবার দুপুরের মধ্যে, প্রভাব থাকবে বাংলাদেশেও

১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ভারতের ওডিশায় বুধবার দুপুরের মধ্যে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এটি উপকূলীয় এলাকা বালাসোরে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর। সতর্কতায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর, দীঘা, তাজপুর, মন্দারমণি, শংকরপুরও। এরই মধ্যে চলছে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি। উত্তাল সমুদ্র। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে।

এদিকে আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যতো স্থলভাগের দিকে এগোবে ঝড়, ততোই এর গতিবেগ বাড়তে থাকবে। আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ে হাওয়ার বেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার থাকলেও আছড়ে পড়ার সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০২০ সালে আম্পানের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে ইয়াস। এর প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের ২০টি জেলায়। তাই রাজ্য সরকার ৪ হাজার ত্রাণশিবির খুলেছে। রাজ্যের ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের এমন অবস্থায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আর মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে ভারতের ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।