ইরাকে জার্মান আইএস নারীকে নিয়ে উল্লাস (ভিডিও)

ইরাকের আইএস নিয়ন্ত্রিত শহর মসুলের দখল নেবার পর বহু আইএস বিদ্রোহীকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও ছিল। চলতি বছরের জুলাই মাসে এমনই এক জার্মান নারীকে আটকের পর উল্লাসের ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ইরাকি বাহিনীর পোস্ট করা ওই ভিডিওতে ১৬ বছর বয়সী এই জার্মান নারীকে নিয়ে যোদ্ধাদের উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়।
আটক কিশোরীর নাম লিন্ডা ওয়েনজেল বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে তাকে গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত এক দুর্গ থেকে আটক করা হয়। সেসময় তার সঙ্গে স্বামী এবং পুত্রসন্তানও ছিল। আটকের সময় বেশ আহত ছিল লিন্ডা। কোলের বাচ্চাও ছিল অপুষ্ট। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, বেশ কিছুদিন তার অনাহারে কেটেছে।

আটকের পর বাচ্চাকে সেনা ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর লিন্ডাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগদাদে। চিকিৎসার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য! তবে বাচ্চাটি লিন্ডার কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারেনি ইরাকের কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা, শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

জার্মানির ছোট্ট শহর পালসনিৎজের বাসিন্দা লিন্ডা এখন বাড়ি ফিরতে চাইছে বলে জানায় দি ডেইলি মেইল। এখন তার বক্তব্য হচ্ছে, যুদ্ধ, অস্ত্র আর কোলাহলের চাইতে পরিবারের কাছে থাকা সবচেয়ে ভালো। তবে লিন্ডার বক্তব্যে যথেষ্ট সন্দেহ পোষণ করে জার্মান কর্তৃপক্ষ।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসের অনলাইন প্রচারে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইরাকে পাড়ি জমায় লিন্ডা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এক চেচেন যোদ্ধাকে বিয়েও করে। আটকের পর বেশ কয়েকজন ইরাকি সেনাকে হত্যার কথাও সে স্বীকার করেছে। ফলে জার্মানিতে ফেরত পাঠানোর আগে ইরাকে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেই সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে।

https://youtu.be/wS-vPBB4aVY