ই-হজ ব্যবস্থাপনায় এবার এগিয়ে বাংলাদেশ

সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার চার সহস্রাধিক হজযাত্রীর ভিসা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। মোট ভিসাপ্রাপ্তদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার এক হাজার ৬৪৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার দুই হাজার ৫০০ জন রয়েছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পবিত্র হজ পালনের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে সৌদি সরকার ২০১৬ সাল থেকে ই-হজ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করে। নতুন এ পদ্ধতিতে গত দুই বছর পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় এ বছর ই-হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। সর্বশেষ গত বছর যেখানে প্রথম হজ ফ্লাইটের পাঁচদিন আগেও হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু হয়নি সেখানে এ বছর প্রথম ফ্লাইটের ১৫ দিন আগেই ভিসা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৭৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন এবার হজে যাবেন। ইতোমধ্যেই ই-হজ পদ্ধতিতে মোট ৮১ হাজার হজযাত্রীর ভিসা ইনরোলমেন্ট সম্পন্ন হয়ে গেছে। সৌদি আরবে বাড়িভাড়ার রসিদ জমা দিয়ে বিমানের টিকিট নিয়েছেন ৭১ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী।

ই-হজ পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে একজন হজযাত্রী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে তার আইডি লিখে ভিসা হয়েছে কিনা, না হয়ে থাকলে কোন পর্যায়ে রয়েছে, কবে তার ফ্লাইট হবে ইত্যাদি জানতে পারছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে এবারই প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের বিশেষজ্ঞ আলেমওলামা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে হজ প্রশিক্ষণ চলছে। বিশ্বের বহু দেশে এখনও এত কাজ করে এগুতে পারেননি বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।