ঈদের চতুর্থ দিনেও পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত
মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চতুর্থ দিনেও পর্যটকের ভিড় জমেছে দক্ষিণের সাগর কন্যাখ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।
রমজানে গত একমাস ধরে ব্যস্ততম এ নগরী পর্যটক শূন্য থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে কুয়াকাটায় আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। ফলে বাড়তি পর্যটকের আগমনে বিক্রি বেড়েছে নগরীর ছোট বড় সব শ্রেণীর দোকানগুলোতে। আর তাই ব্যবসায়ীরাও বলছেন, রমজানের খড়া কাটাতে আগন্তুকদের চাহিদানুযায়ী সেবা দিতে মুখিয়ে আছেন তারা। তবে এবার ঈদে কুয়াকাটায় বাড়তি পর্যটকের আগমন ঘটবে এমন পূর্বাভাস দিয়েছিলেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তাই আগ বাড়িয়ে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আশাতীত পর্যটক আগমনে বুকিং রয়েছে এই নগরীর শত ভাগ অবকাশ যাপন কেন্দ্রগুলো।
ঈদের ছুটিকে ঘিরে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটার সবগুলো দৃষ্টি নন্দন স্পটেই এখন দর্শনার্থীদের আনাগোনা। আর সমুদ্রের তীরে আছড়ে পরা ঢেউয়ের তালে নেচে গেয়ে উল্লাসে মেতে উঠছেন হাজারো পর্যটক। রোদ – মেঘের প্রকৃতিতে সমুদ্রের পানিতে গা ভাসিয়ে ভ্যাপসা গরমে একটু প্রশান্তির পরশ নিচ্ছেন অতিথিরা।
ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে কুয়াকাটা নগরীতে। আগত পর্যটকরা সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বনসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন উৎফুল্ল মনোভাব নিয়ে।
ঢাকা থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক জুনায়েদ লাকি জানান, সেতু পদ্মা পাড়ি দিয়ে প্রথমবার বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি ঈদ উপলক্ষে। কতটা যে আনন্দ করেছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। উপভোগ্য অনেক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছি। সময় সুযোগ হলে ফের আসবো এই সৈকতে। খুলনা থেকে আগত পর্যটক শিশির জানান, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে একটা দারুণ উপলব্ধি হয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল সবুজ অরণ্য এবং সমুদ্রের গর্জন। এছাড়া খুব কম সময়ে আসতে পেরে পথে ক্লান্তি লাগেনি । এখানে এসে সবার সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছি। বাচ্চরাও বেশ আনন্দ করেছে। তবে কুয়াকাটায় আরো আবাসিক হোটেল নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তিনি। কুয়াকাটা সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে তার রিসোর্টের সব রুম বুকিং রয়েছে। হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গুলোতে আশাতীত বুকিং রয়েছে। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়ায় এখন কোন পর্যটক কে রুম সংকটে ভুক্তে হয় না।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, রমজানের পর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে ট্যুরিস্ট পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন