ঈদের পাঁচ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি সহস্রাধিক

ঈদের পাঁচ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার সাতচল্লিশ জন। কয়েক বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আহতদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল আরোহী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলের নিয়ম না মানাই দুর্ঘটনার কারণ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুইবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত তপন মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাকে শনিবার (০৭ মে) সকালে আনা হয় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করায় বাবাকে হারিয়ে থামছে না ছেলের আহাজারি।

সিরাজগঞ্জের আজিম শেখ। ১৪ বছর বয়সী এ তরুণ ঈদের দিন বের হয় মোটরসাইকেল নিয়ে। পথে পিকআপের সঙ্গে সংর্ঘষ। এখন সে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নরসিংদীর রাসেলেরও একই অবস্থা। ঈদের দিন দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি।

পঙ্গু হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ড রোগীতে ঠাসা। আর এসব রোগীর বেশিরভাগই ভর্তি হয়েছেন ঈদের ছুটিতে।

ঈদের আগে ও পরে ৫দিনে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪৭ জন, যাদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের পরের দিন ১৫২ জন রোগী এসেছেন। এরমধ্যে অর্ধেক রোগীকে অপারেশন করতে হয়েছে। এদের মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট বেশি।

জরুরি ওয়ার্ডে জায়গা না হওয়ার অনেককে বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার মোটরসাইকেলে চড়ে সবচেয়ে বেশি বাড়ি গেছেন ও এসেছেন রীতিমত বিপদজনক হয়ে।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাদিউজ্জামান বলেন, আমাদের যে মোটরসাইকেল রাইডশেয়ারিং নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে সেখানে বাণ্যিজিকভাবে মোটরসাইকেল চলাফেরা সেটা ঢাকা শহরের মধ্যে করতে হবে। কিন্তু এই মোটরসাইকেলগুলো যাত্রী নিয়ে দূরপাল্লায় চলে যাচ্ছে। সেখানে আমি মনে করি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে।

এর আগে মোটরসাইকেলের বহর ঘাটগুলোতে কখনো দেখা যায়নি।