ঈদে ঘরে ফেরা : বিক্রি শুরুর আগেই শেষ লঞ্চের টিকিট!

রাজধানীর সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সব লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু সব টিকিট নাকি দুদিন আগেই শেষ। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বুকিং দিয়ে সব টিকিট আগেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। একারণে বৃহস্পতিবার খোলা নেই একটি কাউন্টারও। সদরঘাটে গিয়ে এই চিত্রই পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার(১৫ জুন) থেকে বিভিন্ন লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা। তবে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে যাত্রীরা লঞ্চের অগ্রিম টিকিট কেনার জন্য আসছেন, কিন্তু হতাশ হয়ে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। তারা এসে দেখেন কোনও কাউন্টারই খোলা নেই। এরপর টার্মিনালে অবস্থানকারী বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বুকিং দিয়ে দুদিন আগেই সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।

সদরঘাটে লঞ্চের টিকিট কাউন্টার থেকে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন লোকজন

মেসার্স এ রহমান শিপিং লাইন এর কাউন্টার ম্যানেজার হারুনুর রশিদ ও মো. মহসিন জানান, তাদের লঞ্চে ২৫টি ডাবল এবং ১১টি সিঙ্গেল কেবিনসহ মোট ৬১টি কেবিন রয়েছে। তাদের সবকটি টিকিট গত ১২ জুনের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না বলে জানান। প্রতিবছরের মতো এবছরও মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই টিকিট বুকিং দিয়েছেন।

অগ্রিম টিকিট কিনতে আসা বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক মদদে বিভিন্ন লোকজন ঈদের অনেক আগেই টিকিট কিনে নিয়েছে। ঈদের কয়েকদিন আগে দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ দামে এগুলো সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে।

মিরপুর থেকে সদরঘাটে টিকিট কিনতে আসেন মহিউদ্দিন নামের একজন। তিনি হতিয়া যাওয়ার জন্য ফারহান ৪ লঞ্চের টিকিট কেনার চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, ‘কাউন্টারে ফোন করলে তারা বলেছিল সদরঘাটে টিকিট বিক্রি হবে। ফোনে আসতে বলে। আসার পর দেখি তারা বলছে সব টিকিট শেষ। তাহলে কেন টিকিট বিক্রির দিন ধার্য করা হয়?’

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ন পরিচালক জয়নাল আবেদিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টিকিট কেন আগেই ব্রিক্রি করে ফেলছে সেটা মালিকরাই বলতে পারবে। তাদের কাছে ব্যাখ্যা চান। আমরা কি করতে পারি!’