এই অবাস্তব বাজেট বাস্তবায়ন কখনো সম্ভব নয় : মির্জা আজিজুল
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘উচ্চাভিলাষী ও অবাস্তব’ মন্তব্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, এই অবাস্তব বাজেট কখনও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে এটি নিতান্তই উচ্চাভিলাষী ও অবাস্তব বাজেট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন বাজেট কখনও ঘোষণা করা হয়নি। কেননা বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের অর্থ সংগ্রহের মতো ভালো ব্যবস্থা নেই। কিংবা ব্যয়েরও সামর্থ নেই।
অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, গত অর্থবছরে মূল বাজেটের আকার ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য পরে সেটা সংশোধনের মাধ্যমে বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। যেখানে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার মতো কাটসাঁট করা হয়েছে। প্রতি অর্থবছরেই বাজেটের শেষের দিকে এসে সংশোধন করা হয়। আর তখন দেখানো হয় বাজেটে সফলতা অর্জন হয়েছে।
মির্জা আজিজুল আরও বলেন, বাজেট সংশোধন না করে প্রথমেই এমন বাজেট ঘোষণা করতে হবে যে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এমনকি বাজেট নিয়ে জনমনে কোনো প্রশ্নও দেখা দেবে না। কিন্তু অতিবিলাসী বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার বাজেট দিয়ে জনগণের সঙ্গে এটা এক প্রকার তামাশা করা হচ্ছে। কেননা এবার নতুন বাজেটে মোট রাজস্বপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের মাধ্যমে আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এনবিআর এর পক্ষে কখনও এত বড় রাজস্ব আদায় সম্ভব নয় জানিয়ে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এনবিআর এর দক্ষ জনবলেরও অভাব আছে। এখানে গত অর্থবছরে এনবিআর’কে যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিলো সেটাও কিন্তু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বরং প্রতিমাসে এনবিআর তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বরাবরই ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই এতো বড় বাজেট বাস্তবায়নে যেখানে সম্পদ আহরণে রাজস্ব বোর্ডের ওপরই নির্ভর করতে হবে সরকারকে, সেখানে এনবিআর কতোটুকু সামর্থ্য রাখে এই অর্থ সংগ্রহে সেটাও ভাবার বিষয়। সুতরাং এনবিআর এর পক্ষে এই রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন