একদিন টাকার অভাবে এই কাজও করেছেন শারাপোভা!

মারিয়া শারাপোভার আজ টাকার অভাব নেই। একদিন এমন ছিল, যখন দিন চালানোর পয়সাই ছিল না তাঁদের। মাশার বাবা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে কাটছিল দিন। সেই জায়গা থেকে মাশার পৃথিবী পুরোটাই বদলে যায়। শারাপোভা এখন ধনী। একাধিক নামী কোম্পানির মডেলও বটে। একদিকে তিনি নন্দিত। অন্যদিকে নিন্দিতও। একদিন টাকার অভাবে ছোট কাজ করেছেন শারাপোভা।

১২ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হতে চলেছে শারাপোভার আত্মজীবনী। সেখানে রুশ সুন্দরী ছেলেবেলার নানা কাহিনি তুলে ধরেছেন। ছেলেবেলা থেকে দ্রারিদ্রের সঙ্গে লড়ে আজকের এই জায়গায় পৌঁছতে তাঁকে কতটা ঘাম ঝরাতে হয়েছে, সেই কথাও খুব স্পষ্ট করে লিখেছেন মাশা। আত্মজীবনীতে শারাপোভা লিখেছেন, একটা সময়ে তাঁদের কাছে পড়েছিল মাত্র সাতশো ডলার।

১৯৯১ সালে চার বছর বয়সে টেনিস খেলতে শুরু করে দেন শারাপোভা। ওই বয়সে ভাল করে র‌্যাকেটই ধরা সম্ভব নয়। ছ’ বছর বয়সে ঠিকঠাক র‌্যাকেট ধরতে শেখেন তিনি। যখন অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করার সময় আসে, তখন দেখা যায় তাঁদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থই নেই। রাশিয়ায় টেনিসের পরিকাঠামো ভাল ছিল না। বাধ্য হয়ে মার্কিন-মুলুকে যেতে হয় শারাপোবাদের। বিশ্বের একনম্বর দেশ। সেই দেশে গিয়ে জীবন চালানোর জন্য দরকার প্রচুর অর্থ।

অথচ শারাপোভার বাবার কাছে সেই সময়ে ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। পরিবারের খরচ চালানোর জন্য ছোট ছোট চাকরি নিতে হয় শারাপোভার বাবাকে। এভাবেই দারিদ্রের সঙ্গে লড়তে লড়তে শারাপোভা হয়ে ওঠেন সুপারস্টার। আজ তাঁর কাছে অর্থের অভাব নেই।