এমপি আনারের মরদেহ টুকরো করে লাগেজে ভরে বাইরে নেন ৩ জন

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শাসকদলের এই সংসদ সদস্য কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি আধুনিক ফ্ল্যাটে তাকে হত্যা করা হয়।

কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যা রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সেখানকার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ মে তারিখ দুপুরের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনে। সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুরুষ ও এক নারী। তারা চারজনেই ওঠেন আবাসনের বি-ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে।

রক্তের দাগ ও একাধিক পায়ের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ওই রাতে চারজন একসঙ্গেই ছিলেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাগেজে করে মরদেহের টুকরো বের করে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। এ কাজ করতে সময় লাগে তিন দিন। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিনই লাগেজ নিয়ে একজন করে বের হয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে বের হন ওই নারী। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে কারা গ্রেফতার হয়েছেন, তারা বাংলাদেশি নাকি ভারতীয় এ নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি।

রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, এখনই তদন্তের স্বার্থে কিছু বলব না। গোয়েন্দা প্রধান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও লিংকম্যানের মাধ্যমে তদন্ত শিগগিরই শেষ হবে।

পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটের মালিক সন্দীপ রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি বিভাগে রয়েছেন। অথচ তিনি ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওই বাংলাদেশি কোথায়? পুলিশ বলছে, এখনই এ নিয়ে কোনো তথ্য দেব না। তবে পুলিশ নিশ্চিত- এটি নিখোঁজের ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। এখন ফ্ল্যাটে ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।