এলপিজি’র মূল্যবৃদ্ধি জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে : বাংলাদেশ ন্যাপ
বৃহস্পতিবার ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) এবং অটোগ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কার্যকরের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে বর্তমান করোনাকালে জনগণের দুরবস্থার মধ্যে যদি এলপিজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পায় তাহলে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, এলপিজি’র মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এ সংবাদ মধ্যবিত্তের জন্য খুব একটা স্বস্তির খবর নয়। বসায়ীদের চাপে নতুন করে গণশুনানীর নামে দাম বাড়ানো হবে অযৌক্তিক। দেশের জনগণ তা মানবে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, সারা বছর সাশ্রয়ী ও নির্ধারিত মূল্য নিরাপদ সিলিন্ডার মানুষের কাছে পৌঁছাতে বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি ও ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভরশলি থেকে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। এজন্য দেশের স্থল ও সমুদ্রভাগের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে সিলিন্ডার গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ করাতে হবে।
তারা এখন সরকারিভাবে উৎপাদিত ১২.৫ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস নির্ধারিত ৫৯১ টাকায় দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহের দাবি করে বলেন, পাইপ লাইনে ১ চুলা ২ চুলার নামে যে টাকা নেওয়া হয়, তা প্রায় ডবল। সিদ্ধান্ত থাকলেও দুর্নীতি বজায় রাখতে পাইপ লাইনে মিটার বসানো হচ্ছে না। দ্রত মিটার বসার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
নেতৃদ্বয় গ্যাস খাতের দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনা দূর করে দেশের গ্যাস দেশবাসীকে সাশ্রয়ী মূল্য দেওয়ার আহবান জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন