ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাসীরা আ.লীগের নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের হাতে আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।

(রোববার) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য রাশিদুল ইসলাম, বজলুর রহমান, আখতারুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাবেক সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, শনিবার পর্যন্ত দেশের ২৪ স্থানে বোমা হামলা, গুলিবর্ষণ এবং পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা সংখ্যালঘুদের এখনই ভয়-ভীতি দেখানো শুরু করেছে। ২০০১ সালের স্টাইলে তারা সংখ্যালঘুদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এইচ টি ইমাম এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে যখন দেখলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পথে, তখন পরিবার-পরিজন নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের তালিকা এবং তখনকার অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন যুব শিবির যে তালিকা করেছিল সেই তালিকার মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলামের নাম নেই। ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কিছু ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিয়েছেন।

সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যখন মাইকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাবেন তখন আজান ও ধর্মীয় উপাসনা চলাকালে মাইক বন্ধ রাখবেন।