ওয়েবমেট্রিক্সের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম বুয়েট

২০২২ সালের ওয়েবমেট্রিক্সের র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের সেরা হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এরপরই অবস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)।

ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিংয়ে বুয়েটের অবস্থান ১৫৮৯ তম ।

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত স্প্যানিশ ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিলের (সিএসআইসি) একটি গবেষণা দল ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশের ৩১ হাজারের বেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিবেচনায় নিয়ে তারা এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে।

অন্যদিকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), বিশ্ব র‌্যাংকিং ২০৫৬ তম। যা দেশের চতুর্থ তম স্থানে রয়েছে। দেশসেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টি পাবলিক ও ৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৬৬৮), তৃতীয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৮১৫), চতুর্থ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, পঞ্চম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০৭৬), ষষ্ঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪১৬), সপ্তম ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪২৭), অষ্টম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৬৫৯), নবম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৭৬২) ও দশম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৯০২)।

ওয়েবমেট্রিকস-এর র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, ২০২১ সালের জরিপে – বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়৷ এবং বিশ্বে প্রথম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বছরের এ র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের সেরা ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪ টিই যুক্তরাষ্ট্রের। বিশ্ব সেরা তালিকায় যথারীতি শীর্ষস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), চতুর্থ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলি, পঞ্চম অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
এ র‍্যাংকিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে ওয়েবমেট্রিক্স।