কঠিন সময় পার করার সাহস,ধৈর্য মানুষের হয়ে গেছে: আইনমন্ত্রী

কঠিন সময় পার করার সাহস,ধৈর্য মানুষের হয়ে গেছে: আইনমন্ত্রী

আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার মনে হয় এই কঠিন সময় পার করার মতো সাহস এবং ধৈর্য এই দেশের মানুষের এখন হয়ে গেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার (২১ আগস্ট) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় আমাদের না বললেই হবে না, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি ভালোবাসা। তিনি সবসময় মনে করতেন আমি পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তার কাছে মাথা নত করবো না। এই জন্যেই তার কথা বাঙালিকে দাবায়ে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কারণেই তিনি ২০১২ সালে বলেছিলেন যে আপনারা (বিশ্বব্যাংক) বলছেন দুর্নীতি হয়েছে, আপনারা চলে যান। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে।

আনিসুল হক বলেন, আজকে আমরা দেখছি যে শুধু একটা পদ্মা সেতুর কারণে, নিজেদের অর্থায়নে একটা পদ্মা সেতু বানানোর কারণেই আজকে বাংলাদেশের মানুষের কোমর শক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের হতাশা দূর হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এখন মিটিং-সেমিনার এইগুলি হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা করি। যেদিন দেশপ্রেম এবং ভালোবাসা দেখাতে পারবেন, তখনি আপনারা বুঝবেন হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করেছেন। আপনাদের অস্তিত্বে বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করছেন। আমি আপনাদের সেই জায়গায় পৌঁছানোর আহ্বান জানাবো।

আনিসুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য অন্য কোনো কিছুর ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, তৎকালীন পূর্ব বাংলার অনেক বড় বড় নেতা পাকিস্তানের সামরিক জান্তার সঙ্গে আপস করলেও বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। এজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয় পাওয়ার যুক্তিও ছিল। বঙ্গবন্ধু সবসময় নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধে বিশ্বাস করতেন না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন না। তিনি সবসময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে বিশ্বাসী ছিলেন। কারণ তার ছিল প্রবল দেশপ্রেম এবং ছিল জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসা।

এসময় দুঃখ প্রকাশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা যাকে হত্যা করার সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে আমরা হত্যা করেছি। এই কলঙ্ক আমরা কোনোদিন মোচন করতে পারবো না।

আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শহিদুল আলম ঝিনুক, সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রাব্বানী, অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম ও কাজী আরিফুজ্জামান, উপসচিব শেখ গোলাম মাহবুব ও গাজী কালিমুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।