করাচির চীনা কনস্যুলেটে হামলা, ২ নিরাপত্তারক্ষী নিহত

পাকিস্তানের বন্দরনগরী করাচিতে চিনা কনস্যুলেটে বন্দুকধারীদের হামলায় দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাধা টপকে একদল বন্দুকধারীরা কনস্যুলেটে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরাও। গোলাগুলিতে দুই নিরাপত্তরক্ষী প্রাণ হারান। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শহরের ক্লিফটন এলাকা থেকেও গোলগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে পাকিস্তানের পত্রিকাগুলো খবর দিয়েছে।

করাচির পুলিশ কর্মকর্তা জাভেদ আলম ওধো জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে চিনা উপ-দূতাবাসে ঢোকার মুখে চেকপোস্টে ওই ঘটনা ঘটে। বন্দুকধারীরা উপ-দূতাবাসের ভিসা অফিসেও ঢুকে পড়েছিল। ওই এলাকা কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ ওই ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চিনা উপ-দূতাবাসের সামনের ওই এলাকা থেকে ধোঁয়া উঠছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শহর ও বাণিজ্য-নগরী করাচি গত কয়েক বছর ধরেই সন্ত্রাসকবলিত। করাচি লাগোয়া বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকা বহু দিন ধরেই সন্ত্রাসবাদীদের দখলে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ গড়ে তোলার জন্য চীন যে অর্থনৈতিক করিডোর বানাচ্ছে, সেটা ভালোভাবে নিচ্ছে না সন্ত্রাসবাদীরা। ওই সড়ক হয়ে গেলে করাচি ও ইসলামাবাদের সঙ্গে চিনের পশ্চিম প্রান্তের শিনজিয়াং প্রদেশের যোগাযোগ মসৃণ হয়ে উঠবে। আর একারণে গোপন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটবে সন্ত্রাসবাদীদের। তাই বেশ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে বেজিং।