সরকারি সহযোগিতা কামনা

করোনাকালে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ নিউলাইট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য ও সুপরিচিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘নিউলাইট’ প্রাণঘাতী এই করোনা মহামারির ছোবলের আবির্ভাবে সংস্থাটির কর্মসংস্থান ভূমিকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারের একান্তভাবে সহযোগিতা চাচ্ছেন সংস্থাটি। নিউলাইট ইয়ুথ ডেভেল্পমেন্ট ট্রেনিং অর্গ্যানাইজেশন (নিউলাইট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান।

উত্তরবঙ্গের শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতিদের প্রয়োজনীয় বহুমূখী কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছে নিউলাইট যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় হল দিনাজপুর সদর উপজেলার সুইহারি এলাকায়। এর সাব অফিস কিংবা শাখা-প্রশাখা অফিস- দিনাজপুর, দিনাজপুর সদর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, নিয়ামতপুর, নওগাঁ, পীরগঞ্জ, বীরগঞ্জ, আমবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, পাকেরহাট, ঘোড়াঘাটসহ সংস্থাটি ১৫টি শাখার মাধ্যমে কম্পিউটার বেসিক, আইসিটি, গ্রাফিক্স, ফ্রিল্যান্সিং, গবাদিপ্রাণি পালন, গরু মোটাতাজাকরন, মৎস্যচাষ, আমিনশীপ, ড্রাইভিং, পোশাক তৈরি, ব্লক বাটিক, বিউটিশিয়ান, হস্তশিল্প, পল্লী চিকিৎসক ইত্যাদি প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। নিউলাইট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শত শত বেকার যুবক যুবতীরা পাচ্ছেন কর্মস্থানের সুযোগ। প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকে পেয়েছে সরকারি চাকরি, কেউ বেসরকারি, আবার কেউ ব্যবসা করছে, অনেকেই করেছে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম।

এ কারনেই বেকার জীবনের আলোর আরেক নাম হয়েছে ‘নিউলাইট’। সাধারন একাডেমিক শিক্ষা যেখানে একজন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, সেখানে নিউলাইট অর্গ্যানাইজেশন স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দিচ্ছে আত্মকর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা। শুধু তাই নয়- প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, ভ্রাম্যমান গবাদিপ্রাণির ফ্রী ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি, নিরাপদ সড়ক, মাদক, বাল্যবিয়ে, বৃক্ষরোপণ, করোনা মহামারি, ভুমিকম্প সহ সামাজিক সচেতনতামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দক্ষ প্রশিক্ষক ও সঠিক ব্যবস্থপনার মাধ্যমে চলছে এই সংস্থাটি। সংস্থাটি এনজিও হিসেবে বর্তমানে “নিউলাইট ইয়ুথ ডেভেল্পমেন্ট ফাউন্ডেশন” নামে অনুমোদন লাভ করেছে। যার রেজিষ্ট্রেশন নং- ৪৮৭/২১। নিউলাইটের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে- আইটি ভিশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, নিউলাইট ভেটেরিনারি ক্যারিয়ার পয়েন্ট ইনস্টিটিউট এবং নিউলাইট ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড।

এ বিষয়ে নিউলাইট ইয়্যুথ ডেভেল্পমেন্ট ট্রেনিং অর্গানাইজেশন এর নির্বাহী পরিচালক মকছেদুল মমিন সরকার জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১৭ মাস বন্ধ থাকার পর ১৪০ টি কম্পিউটার ৫ টি প্রজেক্টর, ৪টি ৪২” ইঞ্চি স্মার্ট মনিটর, প্রিন্টার বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্র সহ প্রায় ১কোটি টাকার যন্ত্রাংশ এবং ট্রেনিং খাত থেকে আয় ১কোটি ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২কোটি ৩৯ লাখ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির বিষয়ে তিনি সরকারের সু-দৃষ্টি ও সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকলে উন্নত হবে দেশ।

তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।