করোনায় সাইবার অপরাধ : সচেতনতার বিকল্প নেই

করোনায় সাইবার অপরাধ : সচেতনতার বিকল্প নেই

সেলিনা আক্তার

আধুনিক সভ্যতার এই ক্রান্তিকালে পোস্টমর্ডানিজম যখন আমাদের ঘিরে ধরেছে তখন সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের যাবতীয় একাকীত্বের এক নিজস্ব সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে মানুষের জীবনঘটিত প্রতিটি কাজেই গুরুতর প্রভাব ফেলছে। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন অনেকেই। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার ব্যুলিং, নারী ও শিশুরা এর প্রধান শিকার। বিশ্বের ১৬০টি দেশের সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল উন্নয়ন পরিস্থিতি বিবেচনায় তৈরি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮ ধাপে উন্নীত হয়েছে। এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৬৫তম। এটি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা বিধানের সক্ষমতারই প্রতিফলন।

অনেক শিশু কিশোর-কিশোরী ও নারীরাও প্রতিনিয়ত সাইবার ব্যুলিং এর শিকার হচ্ছে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনো কিছুতে প্রলুব্ধ করা ইত্যাদি হলো সাইবার ব্যুলিং। কিশোর-কিশোরীরাই প্রথম দিকে এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল। এখন মধ্যবয়সিরাও এ ফাঁদে পা দিচ্ছেন। সাম্প্রতি সাইবার ব্যুলিংকে এখন বিশ্বের একটি বড়ো সমস্যা বলছেন এবছর আন্তর্জাতিক শিশু পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশের নড়াইল জেলার সাদাত রহমান। ‘সাইবার ব্যুলিং’ থেকে শিশুদের রক্ষায় কাজ করে এ বছর ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ পান নড়াইলের এই কিশোর। পুরস্কার গ্রহণের পর সাদাত বলেন, “সাইবার ব্যুলিং কেবল বাংলাদেশ নয়; এটি এখন ইন্টারন্যাশনালি অনেক বড়ো সমস্যা। সাইবার ব্যুলিং নিয়ে সারা বিশ্ব এখন উদ্বিগ্ন। এ সমস্যা সমাধানে সারা বিশ্বকে আজ এগিয়ে আসতে হবে।

স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা এখন অনলাইনে বেশি সময় ব্যয় করছে। এতে করে অনলাইনে শিকার হওয়ায় ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ইউরোপল। তারা জানিয়েছেন শিশু নিপীড়কদের সক্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। বাসায় শিশুরা একা একা ইন্টারনেট ঘাটছে বলে তাদের প্রতি অভিভাবকদের নজরও থাকছে কম। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদেরকে ফুসলানো নিপীড়কদের জন্য বেশ সহজ। শিশুরা যাতে উদ্বিগ্ন না থাকে সে বিষয়ে অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়মিত তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জানতে হবে অনলাইনে তারা সারাদিন কী করেছে।

বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বড়ো অংশ সাইবার ব্যুলিংয়ের শিকার। দেশের শতকরা ৪৯ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং ৭৩ শতাংশ নারীরাও সাইবার ব্যুলিংয়ের নিয়মিত শিকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, দেশের তিন চতুর্থাশ নারীই সাইবার ব্যুলিংয়ের শিকার। তবে এ বিষয়টি অপ্রকাশিতই থেকে যায়। মাত্র ২৬ শতাংশ অনলাইনে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। যদি বিষয়টি পারিবারিক গন্ডির বাইরে চলে যায় তবে আইনের আশ্রয় নিতেই হবে। এ ক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেল এড়িয়ে চললেই বরং বিপদ। আর তা ভিকটিমকে বিপথেই পরিচালিত করবে। কিছু ধাপ অনুসরণ করলে এই কঠিন কাজই খুব সহজে হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রথম কাজ হচ্ছে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা। তবে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা না নিয়ে একা একা থানায় যাওয়াটাও বোকামি। সঙ্গে রাখতে হবে হয়রানির প্রমাণ ও স্ক্রিনশর্ট কিংবা মেসেজ।
স্মার্টফোন, কম্পিউটারে খারাপ তথ্য, নোংরা- অশ্লীল মেসেজ, ইমেইল, অডিও ক্লিপ, ভিডিও পাঠিয়ে শিশুদের উত্যক্ত করা হয়। সেসাথে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বিকৃত করে ছেড়ে দেওয়া ইত্যাদি নানা উপায়ে শিশু-কিশোরদের সাইবার ব্যুলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মনো-সামাজিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছে। সাইবার ব্যুলিংয়ে চুপ থাকার নীতিই বড়ো ক্ষতির অন্যতম কারণ। পরিবারের কথা ভেবে কিংবা সম্মান হারানোর ভয়ে অনেকেই সব চুপচাপ সয়ে যান কিংবা চেপে যান। অপরাধীরা এর ফলে আরো বেশি সুযোগ নেয়। তারা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে করতে এক সময় ভিকটিমকে যৌন নির্যাতনের ফাঁদেও ফেলে।

মা-বাবা যদি সহজেই সন্তানের বন্ধু হতে পারে তাহলে এ সংকট নস্যি। সাইবার ব্যুলিং কী, ভার্চুয়াল জগতের পরিচিতরা কেন অনিরাপদ এবং একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কেন সবার সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না এগুলো সন্তাদের বুঝিয়ে বলতে হবে। ভার্চুয়াল জগতে সন্তান কোন মাঠে খেলছে সেদিকে নজর দিতে হবে তারই সঙ্গী হয়ে। এজন্য গণসচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই। পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনে হওয়া ৭ হাজার মামলার বেশির ভাগেরই ভুক্তভোগী নারী। এছাড়া অনলাইন ব্যবহারকারী ১০০ জন নারীর মধ্যে ৭৩ জনই সাইবার ব্যুলিংয়ের মাধ্যমে হয়রানি শিকার হন। সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের অন্তত ৫টি ইউনিট থাকলেও পুরুষ সদস্য দিয়ে পরিচালিত হওয়ার সেগুলোতে যান না নারীরা। এ বাস্তবতায় শুধু নারী পুলিশ সদস্যদের পরিচালনায় ‘পুলিশ সাইবার সার্পোট ফর উইমেন’ নামে নতুন ইউনিট গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। সাইবার সংক্রান্ত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে “সাইবার লাইফ” অনুষ্ঠানটি নিয়মিত সম্প্রচার হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সাইবার সচেতনতা মাস (ক্যাম্প) পালন করা হয়েছে অক্টোবর-২০২০ এ।

সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর তথ্য মতে, ২০১৩ সাল থেকে গত ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২৪টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৯টি মামলার আসামির সাজা হয়েছে। আর অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ার ৯৫টি মামলার আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন । এর বাইরে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিনেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে ২০০টিরও বেশি মামলার আসামিরা। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন মামলা থেকে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট মামলা এসেছে দুই হাজার ৬৪২টি। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে ৭২১টি। ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৭সালে ৫৬৮টি, ২০১৬ সালে ২৩৩টি, ২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৪ সালে ৩৩টি এবং২০১৩ সালে এসেছে ৩টি মামলা। চলতি বছরে ২৫৬টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরাসরি ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে ১ হাজার ৮২টি মামলা। এর মধ্যে ৪৪৭টি মামলার বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৬৩৫টির প্রয়োজনীয় উপদান না থাকায় আদালত খারিজ করে দেন। ৪৪৭টির মধ্যে ১৫০টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে জমা হয়েছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে সবমিলিয়ে বিচারধীন মামলার সংখ্যা দুই হাজার ২১টি।

বাংলাদেশে ২০০৬ সালে তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ আইন তৈরি হয় এবং পরে এ আইন সংশোধন করা হয়। এ আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছে করে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা বা অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারে বা যায় মাধ্যমে মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া হয়, তাহলে তার এই কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অপরাধ করলে তিনি অনাধিক ১০ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন এবং অনাধিক এককোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হতে পারেন।

সাইবার ব্যুলিং কিংবা সাইবার নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিও বর্তমানে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদের, বিশেষত মেয়ে শিশু, কিশোরীদের ব্যাপকভাবে সচেতন করতে হবে। সম্ভাব্য সকল ধরনের সাইবার ব্যুলিং সম্পর্কে পরিচিত করতে হবে। সেইসাথে এগুলোর ক্ষতিকর ফলাফলও দেখিয়ে দিতে হবে। পরিবারের অভিভাবক ও বড়োদের খেয়াল রাখতে হবে ছোটোরা স্মার্টফোনে বা কম্পিউটারে কী দেখছে, কী করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ সম্পর্কে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়মিতভাবে পরিচালনা করতে পারে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে যে একাউন্ট থেকে খারাপ প্রস্তাব বা কুমন্তব্য আসে তা ব্লক করে দিতে হবে। সামাজিক মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার প্রভৃতিতে ঘটে থাকলে সেসব মাধ্যমে রিপোর্ট করে দিলেও কাজ হয়। তাছাড়াও ফোন ও একাউন্টের পাসওয়ার্ডের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হবে। সন্তানদের সতর্ক করতে হবে যেন কোনোভাবেই এসব পাসওয়ার্ড খুব কাছের বন্ধুর সাথেও শেয়ার না করে। হয়রানির শিকার যে কেউ এখন ৯৯৯ অথবা পুলিশের ফেসবুক পেজে নক করলেও সহায়তা পাবেন। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১০৯২১ নম্বরে গোপনীয়তা রক্ষা করে এ ধরণের সমস্যার সমাধান করা হয়। সরাসরি বিটিআরসি’র ফোনে ও ই-মেইলেও অভিযোগ করা যায়। এছাড়াও অভিযোগ করা যাবে- [email protected], Cyber Crime Unite এর সাথে কথা বলা যাবে ০১৭৬৫৬৯১৮২২ এবং Cyber Crime Investigation Division CTTC, DMP। তাছাড়া হেল্পলাইন হ্যালো সিটি অ্যাপস এর মাধ্যমেও অভিযোগ করা যাবে।

সাইবার ব্যুলিং বা অন্যান্য আচরণগত সমস্যা শিশু কিশোরদের মধ্যে যেন গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য তাদের প্রতি কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন প্রতিদিন পরিবারের সবাই একসাথে কমবেশি সময় কাটানো। অনেক সময় মা-বাবা দুজনেই চাকুরি করে; সন্তানদের স্কুল-পড়াশুনা ইত্যাদি ব্যস্ততার মাঝেও একসাথে খেতে বসা, কিছু সময় গল্প করা বা অন্যভাবে সময় বের করে নিতে হবে। সবকিছু নিয়েই কথা বলতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে। এতে শিশুকিশোরদের গতিবিধি বুঝা যাবে। ফাঁকে ফাঁকে তাদের ভালোমন্দের পার্থক্য শিখাতে হবে। ছোটোবেলা থেকেই ব্যুলিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটলে তা নিজের মধ্যে চেপে না রেখে মা-বাবা বা স্কুল শিক্ষকদের জানানোর শিক্ষা দিতে হবে। গাইড করতে হবে, সর্বোপরি নিঃশর্ত ও অকৃত্রিম ভালোবাসা দিতে হবে তাদেরকে। সারাদিনের কাজের জন্য প্রশংসা করতে হবে। খেলাধুলা, ব্যায়াম ও অন্যান্য সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।

সাইবার ব্যুলিং একটি জঘন্য আচরণগত ব্যাধি। একে সমাজ থেকে নির্মূল করা জরুরি। এজন্য প্রয়োজন সকলের আন্তরিক উদ্যোগ। শিশু-কিশোরদের বিকাশকালে পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যুলিং প্রতিরোধে সরকারিভাবে নীতিমালা গ্রহণ করা উচিত। শিশুদের সৃজনশীল ও গঠনমূলক কাজে সম্পৃক্ত রাখতে হবে যেন তারা বিপথগামী না হয়। সেইসাথে সাইবার ব্যুলিং প্রতিরোধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কঠোর বিধান রাখা এবং এর বাস্তবায়ন করা জরুরি। আরও জরুরি ছেলেমেয়েদের সাইবার জগৎ এবং এর যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা।

পিআইডি ফিচার