করোনা ফের চোখ রাঙাচ্ছে, শনাক্ত দেড়গুণ বেড়েছে

আবারও যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা। গত এক সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে দেড়গুণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদাসিনতা আর অসচেতনতার কারণেই বাড়ছে সংক্রমণ।

স্বাস্থ্যবিধি। করোনাকালে সবচেয়ে পরিচিত একটি শব্দ। নিউ নরমাল লাইফে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলার বিধি থাকলেও উদাসিনতা এখন চোখে পড়ছে সবখানে। মুখে মাস্ক, নিয়মিত হাত ধোঁয়া, নির্দিষ্ট দূরত্ব মানার কথা থাকলেও সব যেন ভুলতে বসেছে নগরবাসী। ভাটা পড়েছে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ব্যবস্থাতেও।

ক’দিন আগেও বিপণিবিতান কিংবা রাস্তার মোড়ে মোড়ে যে বিশেষ ব্যবস্থা ছিল তা যেন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ভাবখানা এমন যেন বিদায় নিয়েছে করোনা।

অথচ পরিসংখান বলছে ভিন্ন কথা। গত এক সপ্তাহের হিসাব, ইঙ্গিত দিচ্ছে শঙ্কার। আইইডিসিআর বলছে, গত সাতদিনে দেড়গুণ হয়েছে সংক্রমণের সংখ্যা, এই অবস্থা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকলে বুঝতে হবে আরও এক ঢেউ আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯।

আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা মুশতাক বলেন, ‘কোভিড-১৯ গত সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বগতি। এর আগের সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার দেড়গুণ বেড়ে গেছে। এভাবে যদি প্রতি সপ্তাহে দেড়গুণ বাড়তে থাকে এবং পর পর চার সপ্তাহ বাড়তে থাকে আমরা মনে করব যে, আমরা করোনা মহামারির আরেকটা ঢেউয়ে প্রবেশ করেছি।’

এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য বিধি মানার বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আবারও হাত ধোয়া কিংবা মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠান বিনোদন কেন্দ্র কিংবা যে কোনো গণজমায়েতের বিষয়ে প্রয়োজনে কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাদের।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইউসিজি অধ্যাপক ডা.এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কোনো টিকাই তো ১০০ ভাগ প্রটেকশন দেয় না। আমাদের দেশের কিন্তু যেটা নিচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ প্রটেকশন দিবে। তাও তো দুই ডোজ নেয়ার পরে। কমপক্ষে মাস্ক পরতেই হবে, হাত ধোয়া চালু রাখতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।’

এছাড়া টিকাদান কর্মসূচিকে আরও তরান্বিত করার আহ্বান তাদের।
তথ্যসূত্র: সময় টিভি নিউজ