কলকাতায় বাংলাদেশি এমপি আনোয়ারুল আজীমের মরদেহ নিয়ে ধোঁয়াশা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার গত ১২ মে ভারতে যান চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরের দিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে, গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।

কিছু মিডিয়ায় বাংলাদেশি এমপির খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধারের কথা বলা হলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে যেন মুখে কুলুপ এঁটেছে কলকাতা পুলিশ।

কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছেন পুলিশ সদস্যরা।

জানা গেছে, আনোয়ারুল আজীম আনার যে কক্ষে ছিলেন, এই মুহূর্তে সেখানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনসে উঠেছিলেন এমপি আনার। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন, যার মধ্যে ছিলেন একজন নারী। এরপর থেকে আনোয়ারুল আজীম আনার ভবনের বাইরে না বেরোলেও বাকিরা বেশ কয়েকবার বের হন।

সঞ্জীবা গার্ডেনসের আশপাশে পুরোটাই বস্তি অঞ্চল। তার মাঝেই অবস্থিত অভিজাত আবাসিক ভবনটি। আর সেখানেই শেষবারের মতো জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল আনোয়ারুল আজীম আনারকে।

এদিকে, বাংলাদেশি এমপি খুনের বিষয়ে কলকাতা পুলিশ এখনো কিছু জানায়নি।

তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারতে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের মানুষই জড়িত। এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
একই কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর হাসান মাহমুদও।

আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।