কলাপাড়ায় লাল সবুজের পতাকা দেখেই ছুটে আসছে শিশু কিশোররা
কর্মজীবী নানান মানুষের ভীড়ে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছেন স্বাধীন দেশের জাতীয় পতাকায়। সরু একটি বাঁশের সাথে সাটানো রয়েছে স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন ধরনের ফিতা ও মাথায় ব্যবহৃত ব্যান্ড। মাঝে মাঝে সামান্য মৃদু বাতাসে উড়ছে লাল সবুজের রঙে আঁকা এসব কাপড়। আর এসব দেখে দেশ প্রেমে বিবেককে জাগ্রত করে ছুটে আসেছেন শিশু,কিশোর,কিশোরীসহ নানান বয়সের মানুষ। আবার অনেকে কিনে নিয়েও যাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের বেশি আকৃষ্ট করছে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা। লাখো শহীদের প্রান আর ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বিজয় ফিরে পেয়েছে বাঙ্গালী জাতী।
প্রতি বছর বিজয়ের এ মাস এলেই লাল সবুজের পতাকা হাতে পথে প্রান্তরে দেখা মেলে এমন ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতাদের। শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় কথা হয় ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতা যুবক কেরামত আলীর সাথে। জানান দীর্ঘ আট বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পতাকা বিক্রি করে আসছেন তিনি। বাড়িতে তার স্ত্রী নিজ হাতেই এসব পতাকা তৈরি করেন। আর তিনি ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করছেন হাঁট বাজারসহ গ্রামীন জনপদে।
কেরামত আলী জানান তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার দক্ষিন কামারকান্দি এলাকায়। মূলত দেশের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার টানেই এ পেশা বেছেঁ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। তার বাঁশে সাটানো রয়েছে ছোট বড়ো সব সাইজের পতাকা। গড় পরতায় দামেও একেক রকম। ৬ ফুটের প্রতিটি পতাকা তিনি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা দরে, ৫ ফুট ১৫০ টাকা, সাড়ে ৩ ফুট ১২০ টাকা, আড়াই ফুট ৬০ টাকা, দেড় ফুট ৪০ টাকা আর ১ ফুট মাত্র ২০ টাকায়। এছাড়া ফিতা আর ব্যান্ড বিক্রি করছেন ১০ টাকা করে। গড়ে প্রতিদিন ছোট বড়ো মিলিয়ে ৪০ টির মতো পতাকা ২ হাজার থেকে ২৫শ‘ টাকায় বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমান এই বিক্রেতা ।
ছোট পতকা কিনতে আসা ক্ষেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মিম জানায়, ১৬ ডিসেম্বর পতাকা হাতে নিয়ে বিজয় অনুষ্ঠান দেখেতে যাবেন বলে ২০ টাকায় দুটি পতাকা কিনে নিয়েছেন।
আর এক ক্রেতা হাসান জানান, তার বাচ্চাদের জন্য কিনে নিয়েছেন। ১৬ ডিসেম্বর বাচ্চাদের হাতে দিয়ে এর ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়ায় আপলোড করবেন। ব্যবসায়ী আজিম জানান, তার প্রতিষ্ঠানের জন্য যে পতাকা রয়েছে তার রঙ একটু ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। তাই ২০০ টাকা দিয়ে একটি কিনে নিয়েছেন। বিজয়ের মাসে দেশের প্রতি সম্মান রেখেই পতাকা কিনেছেন বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।
কলাপাড়া উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার হাবিবুল্লাহ রানা জানান, প্রতি বছর বিজয়ের মাসে এসব বিক্রেতাদের কাছ থেকে পতাকা কিনতে দেখে আমরা গর্বিত হই। এদের কাছ থেকে কিনে ছোট ছোট বাচ্চারা যখন ছোট পতাকা হাতে কিংবা মাথায় ব্যান্ড আকারে লাগায় তখন এসব বাচ্চাদের দেখে আমাদের বুকটা গর্বে ভরে যায়। তবে পতাকার সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে। এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন