কাতারে অমানবিক কষ্টে ৮০ বাংলাদেশি

কাতারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৮০ বাংলাদেশি কর্মী। কারো বেতন হয় না ১৮ মাস ধরে কারো বকেয়া অন্তত ছয় মাস। দিনে খাবার জুটছে একবার। পাসপোর্ট কেড়ে নেয়ায় দেশে ফেরার পথও বন্ধ। শ্রমিকদের অভিযোগ, ক্লিনিং কোম্পানি খালিজ সোয়ান গ্রুপের ভিসা বাণিজ্যের শিকার তারা।

কাতারে পাঠানো তৌহিদের বাবা বলেন, সংসারের অনটন কাটাতে ছেলে তৌহিদকে পাঠিয়েছিলেন কাতার। তবে প্রতারকদের হাতে পড়ে দেশে টাকা পাঠানো দূরের কথা তাকেই টাকা পাঠাতে হচ্ছে পরিবারকে।

তৌহিদের মতো স্বপ্ন ভেঙেছে ৮০ জনের। তাদের বেশিরভাগই পাননি ওয়ার্ক পারমিট। কাজের দাবি তোলায় পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়েছে অনেকের। পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন কেউ কেউ।

তাদের দাবি, সৌদি আরবের খালিজ গ্রুপের মূল ব্যবসা শুধু ভিসা বিক্রি। বাংলাদেশের মেটকো এন্টারপ্রাইজ, আল সামিট ইন্টারন্যাশনাল এবং সুলতান ওভারসিজের মাধ্যমে কর্মী নেয় তারা।

শ্রমিকপ্রতি নেয়া হয় তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এর অধীনে ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের কোনো সুযোগ থাকে না। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে অভিযুক্ত এজেন্সি।

এদিকে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলছেন, ভিসা বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণ হলে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

গত তিন মাসে কাতার গেছেন ২১ হাজার কর্মী। তবে প্রতারণার শিকার হয়ে কতজন ফিরেছেন সে তথ্য নেই কারো কাছে।