মধ্যরাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী কারাগারে খুন

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হয়েছেন হত্যা মামলার আসামী এবং ছাত্রলীগ কর্মী অমিত মুহুরী। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের জন্য অমিত মুহুরীর অনুসারীরা তাদের প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপকে দায়ী করেছে।

পুলিশ এবং কারাগার সূত্র জানায়, বুধবার (২৯ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দাগী আসামীদের রাখা ৩২ নম্বর সেলে অমিত মুহুরীর সাথে রিপন এবং রিংকু নামে দু’প্রতিপক্ষের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে তারা লোহার পাইপের মতো ধারালো বস্তু এবং ইট দিয়ে অমিত মুহুরীর মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করে। আশংকাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহত অমিত মুহুরীর বাবা বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম সে আহত হয়েছে। কারারক্ষীর কাছে শুনেছিলাম ও অসুস্থ।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেপুটি রেজিষ্টার ডা. খোরশেদ আলম বলেন , ‘রুগীর মাথায় সামনে ও পিছনে মারাত্মক ইনজুরী ছিলো। প্রায় ৩০টার মত সেলাই লেগেছে। এর পরে অবস্থা খারাপ থাকায় আর কিছু করা সম্ভব হয়নি।’

বিগত ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট নগরীর এনায়েত বাজারের রানীর দীঘি থেকে পুলিশ একটি ড্রাম থেকে গলিত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। পরে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে ছাত্রলীগ কর্মী অমিত মুহুরী তার বন্ধু যুবলীগ কর্মী ইমরানুল করিমকে হত্যা করে লাশ ড্রামে ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছিলো। ওই বছরের ২রা সেপ্টেম্বর পুলিশ তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছিলো। অবশ্য তার আগে থেকেই ছাত্রলীগের একটি উপগ্রুপের সাথে অমিত মুহুরীর দ্বন্ধ ছিলো। আর এই দ্বন্ধের জের ধরেই কারাগারে অমিত মুহুরীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করছে তার অনুসারীরা। তারা বলেন, ‘কোন রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ভাল করে তদন্ত করলে আমরা এর বিচার পাবো।’

নিহত অমিত মুহুরীর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, মাদকসহ ১৫টি মামলা ছিলো। এছাড়া নগরীর সিআরবি এলাকায় রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুন মামলার’ও আসামী ছিলো অমিত মুহুরী।