কালীগঞ্জ চিত্রা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫ বাঁধ অপসারণ
হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ থেকে : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত চিত্রা নদীতে দেওয়া অবৈধ মাছ ধরা বাধ অপসারণ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার রায়ের নেতৃত্বে শুক্রবার দুপুরে চিত্রা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি বাধ অপসারণ করা হয়। এসময় তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অভিযানকালে মাছ ধরার (ঘুনি, আটল) সহ বিভিন্ন প্রকার মাছ ধরার যন্ত্রানংশ উদ্ধার করে। এসময় এসব যন্ত্রে ধরাপড়া বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা, সহকারী মৎস কর্মকর্তা স্বপন কুমার, কালীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ আল মাসুদ মিয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এদিন কামরাইল, গুটিয়ানি এবং হাসপাতালের পাশে নদীতে দেওয়া এসব বাধ অপসারণ করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার একই নদী থেকে বেশ কয়েকটি বাধ অপসারন করা হয়েছিল।
কালীগঞ্জ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ আসছিল চিত্রা নদীতে বাধ দিয়ে ডিম ওয়ালা দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা অভিযান চালিয়ে ৫টি বাধ অপসারন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল নদী ও খাল থেকে বাধ অপসারণ করা হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উত্তম কুমার রায় জানান, দিন দিন খাল-বিল নদী থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্ষার সময় কিছু নদীতে ডিম ওয়ালা মা মাছ দেখা যায়। এই সুযোগে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি নদীতে বাধ দিয়ে ডিম ওয়ালা মাছ গুলো ধরে বাজারে বিক্রি করে। ডিম ওয়ালা মাছ গুলো যদি ডিম ঠিক মতো নদীতে পাড়তে পারে তাহলে প্রচুর মাছ পাওয়া যাবে। দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদার কথা চিন্তা করেই মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান নদীতে বাধ দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন