কালীগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের সেই খানাখন্দ ভরাট করা হচ্ছে নিম্নমানের আধলা ইট দিয়ে
মোঃ হাবিব ওসমান, জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মেইন ষ্ট্যান্ডের সেই বড়বড় খানাখন্দ ভরাট করা হচ্ছে নিম্নমানের বালু, ইট ভাটার বাদ দেওয়া নরম অধলা ও ভাঙাচোরা ইটের খোয়া দিয়ে। এই ইটের কোন নাম্বার দেওয়া যায় না। এই ইট মাটির চেয়েও নরম একটু বৃষ্টি হলেই গলে যায়।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ট্রাকে করে আনা নি¤œমানের পাথরের খোয়া, গরম পিচ, বালু, আর নরম আধলা ইট সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৪/৫ জন কর্মচারী অতি বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া বড়বড় খানাখন্ড ভরাট করা হচ্ছে ইট ভাটার নরম ভাঙাচোর ইট দিয়ে। ছোট ছোট গর্তে আগে ঝাটা দিয়ে কোন রকম ঝাড়ু দিয়ে ধূলা সরিয়ে দিয়ে তার উপর গরম পিচের ছিটা মেরে পাথরের খোয়া দিয়ে মেরামত করে দিয়ে চলেছে। নরম এই ইটের উপর দিয়ে বাস, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চললে আবার ও আগের মতই বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু একবার সামান্য বৃষ্টি হলেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। আর ছোট ছোট গর্ত যেভাবে পিচ ও খোয়া দিয়ে ভরা করা হচ্ছে এর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করলেই ওই খোয়া আবার উপরে উঠে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এভাবে বর্ষার মৌসুমে ৩/৪ বার দেখা মেলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঐ গাড়ী এবং কর্মচারীদের। তারা কোন রকম নামমাত্র মেরামতের কাজ করে চলে যায়।
এভাবে লোক দেখানো মেরামতের কাজ করলে সারা বছরেও এই ষ্ট্যান্ডের গর্তের কোন পরিবর্তন হবে না। ষ্ট্যান্ডে চলাচলকারী ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের দূভোগ কমবে না। ষ্ট্যান্ডে চলাচলকারী পথচারী ও ব্যবসায়ীদের এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে স্থায়ী সমাধানের জন্য ? আর কে দিবে এর জবাব ? সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে এই সমস্যা সমাধানের জন্য। এই সমস্যা নিয়ে যখন সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ করে তার পরই নামমাত্র মেরামতের কাজ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। তার আগে আর দেখা মেলেনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন গাড়ী ও কর্মচারীদের।
আশপাশের শহরগুলি দেখলে দেখা যায় পিচ রাস্তার দুইপাশের মাটির রাস্তাও পিচ অথবা ঢালায় দিয়ে কাদা পানির থেকে রেহাই পেয়েছে কিন্তু কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে আগের সেই ইটের সলিং কবে হয়েছে সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারে না।
এসব জনদূর্ভোগ থেকে রেহায় পেতে কালীগঞ্জ পৌর মেয়রসহ স্থানীয় জন প্রতনিধি, সড়ক ও জনপদ বিভাগ র্কতৃপক্ষ, কালীগঞ্জ উপজলো নির্বাহী অফিসার মহোদয় নজর দিবেন এমনটাই আশা করনে সাধারন মানুষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন