কাশ্মিরে চোখ জুড়ানো একটি গ্রামের নাম ‘বাংলাদেশ ভিলেজ’

কাশ্মিরের চোখ জুড়ানো একটি গ্রামের নাম বাংলাদেশ ভিলেজ। নয়নাভিরাম এই গ্রাম উপত্যকার নতুন পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হতে চলেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

উত্তর কাশ্মিরের বান্দিপোরা জেলায় অবস্থিত জুরিমানজ। এটি বাংলাদেশ ভিলেজ নামেও পরিচিত। এটি একটি মনোমুগ্ধকর গ্রাম যা চমৎকার উলার হ্রদের তীরে অবস্থিত।

এর অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নির্মল পারিপার্শ্বিকতা পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদগুলোর মধ্যে একটি উলার লেক। এটি দর্শকদের নৌকা বিহার, মাছ ধরা এবং পাখি দেখাসহ বিভিন্ন দৃশ্য উপভোগ করার জন্য শ্বাসরুদ্ধকর পটভূমি প্রদান করে।

পর্যটকরা এখন গুলমার্গ, শোনমার্গের আকর্ষণ কাটিয়ে এই বাংলাদেশে ভিড় করছে পর্যটকরা। এখানে রয়েছে জনপ্রিয় উলার লেক। এর নৈস্বর্গিত সৌন্দর্য অসাধারণ। সম্প্রতি পর্যটকদের হটস্পটে পরিণত হয়েছে গ্রামটি।

কাশ্মিরের ডাল লেকে জনপ্রিয়। পর্যটকরা ডাল লেকের শিকারা ভ্রমণ করতে আসেন। আবার ডাল লেকের হাউসবোট গুলিতেও থাকেন তারা। সেভাবেই উলার লেককেও উন্নত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা মনে করছেন সরকার উদ্যোগী হলেই পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে।

জানা যায় যে, ১৯৭১ সালে জুরিমন নামে একটি গ্রামের পাঁচ-ছটি ঘরে আগুন লাগে। নিরীহ গৃহহীন মানুষগুলো পার্শ্ববর্তী এক ফাঁকা এলাকায় সবাই মিলে ঘর গড়ে তোলে। সেই বছরই নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলে। যুদ্ধ শেষে ষোলোই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। নতুন দেশের নামেই গ্রামটির নাম রাখা হয়।

পাঁচ-ছটি ঘর নিয়ে সেই গ্রামের মানুষদের পথ চলা শুরু। আজ সেখানে পঞ্চাশটি ঘর। বান্ডিপুরার ডি সি অফিস ২০১০ সালে এই ‘বাংলাদেশ’ নামক গ্রামটিকে আলাদা গ্রামের মর্যাদা দেয়। এই গ্রামের বাসিন্দাদের মূল জীবিকা মাছ ধরা। তাছাড়া বাদাম সংগ্রহ করা তাদের অন্যতম প্রধান কাজ। সবমিলিয়ে প্রকৃতির কোলে ভারতেই এক টুকরো বাংলাদেশের ছবি পাওয়া যায় এখানে।
হিন্দুস্তান টাইমস