কী চলছে বুঝতে পারছি না, ফরহাদের স্ত্রী

উদ্ধারের পর থেকে কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিবি কার্যালয়ে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় উদ্ধারের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে (ফরহাদ মজহার) নিয়ে কী চলছে, আমরা বুঝতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হচ্ছে না। এতে করে অস্বস্তিতে আছি।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘উদ্ধারের পর তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখেছি। ডিবির পক্ষ থেকে শুধু বলা হচ্ছে, ব্রিফিংয়ে সব জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, ফরহাদ মজহারকে সোমবার ভোর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তার পরিবার আদাবর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।

পরিবারের দাবি, ঢাকার শ্যামলীর নিজের বাসা থেকে ভোর পাঁচটার দিকে একটা ফোন পেয়ে বের হয়ে যান ফরহাদ মজহার। এরপর তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিকবার মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

এরপর সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের নওয়াপাড়ায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।

সেখান থেকে তাকে খুলনা নেওয়া হয়। আর খুলনা থেকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আদাবর থানায় আনা হয় ফরহাদ মজহারকে। সেখানে তার স্ত্রী ফরিদা আখতার, মেয়ে সমতলী ও স্বজনেরা গিয়ে দেখা করেন।

তারপর বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ডিসি মিডিয়া মো. মাসুদুর রহমান (ডিএমপি) জানান, নিখোঁজ, পরে ফোন করে চাঁদা দাবিসহ সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরহাদ মজহারকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।