কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জের যানজটে অতিষ্ঠ জনজীবন।

কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ৫শ মিটার সড়ক প্রসস্ত করার পরও যানজট থেকে মুক্তি মিলছেনা সর্বসাধারনের। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে যানজটে আটকা পড়ে হাঁসফাঁস জনজীবন। এক মিনিটের জায়গা পার হতে সময় লাগছে ১০-২০ মিনিট। এই নিয়ে যাত্রীদের চাপা ক্ষোভ দিন দিন বেড়েই চলছে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উপর গাড়ি পাকিং করে বর্ধিত সড়ক দখল করেছেন গাড়ির মালিক পক্ষ। চলার মতো যেই মূল সড়ক তা দখল করে নিয়েছে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা সুগন্ধা। এই গাড়ি স্টেশনে ঢুকে কুটি চৌমুহনীর যাত্রী নিতে খোটা গেথে বসে থাকেন। অন্যদিকে সিএনজি- অটো রিকশার খেয়াল খুশিমতো বিচরণ ছাড়াও রয়েছে জনতা-ফারজানা গাড়ির সড়কের জায়গা দখলের ঠুসাঠুসি। পরিবহন সার্ভিসের এমন অনিয়মই যানজটের মূল কারন।

জানা যায়, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গাড়ি গুলো চলার কারনে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। এতো যানজট ,অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভার, লাইসেন্স ও ফিটনেসহীন গাড়ীর ছড়াছড়ি কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই।

সচেতন মহল বলছেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ না থাকায় কোম্পানীগঞ্জের যানজট সমস্যা দূর হচ্ছে না। থানা পুলিশ ও হাইওয়ে মাঝে-সাজে আসেন। প্রত্যেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই দূর হবে যানজট।

মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের একটি টিম কোম্পানীগঞ্জ যানজট নিরসনে কাজ করছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ঈদ যাত্রাকে সহজ করতে রোববার থেকে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

মিরপুর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আগামীদিন থেকে রীতিমতো কোম্পানীগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সড়কের শৃঙ্খলায় ও যাত্রাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে আমিও মাঠে কাজ করছি।