কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশীর বাড়ীতে বিএসএফের হামলা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশী বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বিএসএফের সদস্যরা।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯’টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা নাখারজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএসএফের টানা হেচরায় বাড়ীর মালিকসহ আরও ৩জন লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ নিয়ে বিজিবি বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে চোরাকারবারীদেরকে ধাওয়া করতে গিয়ে ভুলবশতঃ বাংলাদেশে রাতে অন্ধ্যকারে প্রবেশ করেছেন বলে বিজিবিকে জানিছেন বিএসএফ।

ওই এলাকার জায়দুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমান্তে আন্তর্জাতিক ৯৪১ মেইন পিলারের সন্নিকটে দু’দেশের মাদক চোরাকারবারীরা মালামাল পার করার সময় ভারতীয় ১৯২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন সেউটি-২ ছাবরী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের সদস্যরা তাদেরকে ধাওয়া করে। মাদক চোরাকারবারীরা তাদের ধাওয়া খেয়ে বাংলাদেশের নাখারজান গ্রামে ঢুকে পড়ে।

এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের পিছু নেন। পরে ওই গ্রামের নিরহ রফিকুল ইসলাম বাড়ীতে চোরাকারবারীরা ঢুকেছে সন্দেহ করে গেট খোরার জন্য চাপ দেয় বিএসএফের সদস্যরা। এক পযার্য় রফিকুল ইসলামের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিকুল ইসলামের গেট ও টিনের ভেড়া ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করেন তারা। অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে রফিকুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে। এতে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মজিরন, তার ছেলে জিয়াউর রহমান ও জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ইতিকেও টানা হেছড়া করে লাঞ্ছিত করে তারা।

পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে বিএসএফের সদস্যরা দ্রুত ভারতের ভু-খন্ডে প্রবেশ করে। বিষয়টি বিজিবি তাৎক্ষনিক ভাবে অবগত করে এলাকাবাসী। বিজিবি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানায়।

হামলার সিকার রফিকুল ইসলাম জানান, আমি বিএসএফকে বলেছি মাদক চোরাকারবারীরা আমার বাড়ীতে প্রবেশ করেনি। তার পরে চাপ প্রয়োগ করে আমার ঘরের বেড়ার টিন গেট ভাঙ্গচুর করেছে। পরিবারের সদস্যকে লাঞ্ছিত করে অশালীন গালিগালাজ করেছে। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে দ্রুত ভারতে প্রবেশ করে।

এ প্রসঙ্গে লালমনিহাট ১৫ বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম পিএসি জানান, ভুল বশত বিএসএফ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানানোর কারনে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা ভূল স্বীকার করেছেন। আর এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না বলে তারা জানিয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।