কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সক্রিয় মটরসাইকেল চোর চক্র, এক মাসে ৬টি মটর সাইকেল চুরি

ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট। একমাসের ব্যাবধানে ভূরুঙ্গামারীতে ৬টি মটর সাইকেল চুরি হয়েছে।

জানাগেছে, ভূরুঙ্গামারী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমানের পালসার-১৫০ সিসি মটর সাইকেল সন্ধ্যা বেলা জামে মসজিদ রোড থেকে,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হকের পালসার-১৫০ সিসি গাড়িটি একই সময়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি রাস্তা থেকে, বাবলু হোসেনের পালসার-১৫০ সিসি মটর সাইকেল ভূরুঙ্গামারী বাজার থেকে, বাগভান্ডার রোডে বাবর আলীর ডিসকভার ১২৫ সিসি, ছাত্রলীগ নেতা নাজিউর রহমানের পালসার-১৫০ সিসি এবং সর্বশেষ আব্দুর রউফ মোল্লার পালসার -১৫০সিসি মটর সাইকেল কদমতলা থেকে চুরি হয়ে যায়।

ফজলুল হক জানান, আমার ছেলে সন্ধ্যা বেলা রাস্তার ওপর মটর সাইকেলটি রেখে একটি বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখে মটর সাইকেল চুরি হয়েগেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু কিছুই হয়নি।

এব্যাপারে অন্যান্যরা ভূরুঙ্গামারী থানায় মৌখিক অভিযোগ করলেও মামলা করেছে শুধু নাজিউর রহমান নামে একজন। একাধিক সুত্রে জানাগেছে, প্রত্যেক ঈদের সময় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নেতৃত্বে মটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই চক্রটির কিছু সদস্য মটর সাইকেল চুরি করে ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে নাগেশ্বরীর একটি নির্দিষ্ঠ চক্রের কাছে পৌঁছে দেয়। এজন্য চোর চক্রের সদস্যরা ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট থেকে নির্দিষ্ঠ কিছু টাকা পেয়ে থাকে। মটর সাইকেল নাগেশ্বরী চক্রের হাতে পৌঁছার পর তাদের কাছ থেকে বাটোয়ারা পায় প্রভাবশালী ব্যক্তিটি। সেখান থেকে মটর সাইকেল চলে যায় রংপুর আন্তঃবিভাগ মটর সাইকেল চোর চক্রের কাছে। সেখানে মটর সাইকেলের রং ও কিছু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন এবং ষ্ট্যম্পিং করে চেসিস নম্বর পরিবর্তন এবং বিআরটিএর এক শ্রেণির কর্মচারীর যোগ সাজসে রেজি নম্বর লাগিয়ে বিক্রি করা হয়।

এব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, মটর সাইকেল চুরির ঘটনা শুনেছি এবং একটি মামলাও হয়েছে। আমরা ঘটনা গুলো নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছি। তিনি বলেন, একটি মটর সাইকেল উদ্ধার হলে অন্য গুলোও উদ্ধার করা যাবে।