কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলাকে প্রায় বারো ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন রেখেছে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিস। শনিবার (৩০ জুলাই) রাত নয়টা থেকে রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ ছিল না। এতে হাজার হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উদাসীনতার কারণেই তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। এসব দেখার কেউ কি নেই?

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাত নয়টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এরমধ্যে কয়েকবার কয়েক মুহুর্তে জন্য বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।

শিলখুড়ি ইউনিয়নের জানে আলম জানান, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কম্পিউটারের দোকানে কম্পোজ করতে গেলে এসময় বিদ্যুৎ চলে যায়। রোববার সকাল নয়টা বাজলেও এখনো বিদ্যুৎ আসেনি। কম্পোজ করাটা জরুরি হলেও অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।

ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের গৃহবধূ সাবিনা বলেন, দিনে একঘন্টা কারেন্ট থাকবে না বলেছে সরকার। সেই সুযোগে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা কারেন্ট থাকেনা। শনিবার রাত নয়টায় কারেন্ট গেছে রবিবার সকাল দশটা বাজে কারেন্টের দেখা নাই। প্রত্যেক দিন সন্ধ্যা হলে করেন্ট যায়।

তিলাই ইউনিয়নের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক শাহজাহান আলী বলেন, ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করতে কঠিন সমস্যা হচ্ছে।

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, শনিবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় বারো ঘন্টা পেরিয়ে গেছে বিদ্যুৎ আসার খবর নাই। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? বিষয়টি আপনারা তুলে ধরুন।

ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) কাওসার আলী বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হয়েছে।