আক্রান্ত ৫৯
কুড়িগ্রামে করোনায় আরো ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নেই আইসিইউ সুবিধা
সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন করে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। সনাক্ত বিবেচনায় সংক্রমনের হার ৫১ দশমিক ৩০ ভাগ।
জেলায় ১০ হাজার ৮৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৪ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার তিনশত ৬৮ জন।এপর্যন্ত মারা গেছে ৩৩ জন।
কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকীরা হোম আইসোলেশনে রয়েছে রলে জানান সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম ডা. হাবিবুর রহমান।
তিনি আরো জানান, ‘কুড়িগ্রাম সদরে বর্তমানে টেস্ট বেশি হচ্ছে তাই সদরে আক্রান্তের হারও বেশি হচ্ছে।’
এদিকে, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় সংক্রমন বাড়লেও করোনা রোগীরা কাংখিত চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেককে বাধ্য হয়ে রংপুরে পাঠাতে হচ্ছে। দরিদ্র এই এলাকার মানুষের সুবিধার্থে অতিদ্রুত আইসিইউ সুবিধাকেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমনের হার বাড়লেও মানুষজন সচেতন হচ্ছেনা। অনেককেই মাস্ক বিহীন চলাচল করতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামে লকডাউনের সপ্তম দিনে জেলা সদরে লকডাউন খুব একটা কার্যকর দেখা যায়নি।সড়কে যানবাহন সহ মানুষের চলাচল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাটের বাইরেও বেশকিছু দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ বিধিবিধান মানছেনা।
জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন যখন মাঠে টহল দেয় তখন মানুষজন সটকে পড়লেও তারা চলে যাবার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
কুড়িগ্রামে কঠোর লকডাউনের ৭ম দিনেও অকারনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের কারাদন্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের আইন প্রয়োগে সোমবার দিন ব্যাপি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ৪টি টিমের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে দোকান পাট চালু রাখার অপরাধে ৩টি দোকান সিলগালা, ৭ জনকে কারাদন্ড এবং অটোরিক্সা চালক ও মোটর সাইকেল আরোহীসহ অন্যান্যদের নামে ১১৭টি মামলা ও ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এর আগে ২৩৭ মামলায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা ও ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে প্রতিদিন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের নির্দেশে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অভিযানকালে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান জানান, ‘বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে মোটর বাাইকসহ বের হয়ে রাস্তা ও হাটবাজারে গণজমায়েত হচ্ছেন অনেকেই। এ কারনেই করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মানুষকে ঘরে রাখতে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন