কুড়িগ্রামে করোনা ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন ও গ্রহনে মানুষের আগ্রহ কম

কুড়িগ্রামে করোনা ভ্যাক্সিনের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও ভ্যাক্সিন গ্রহন কার্যক্রমে এখনও আগ্রহ সৃষ্টি হয়নি। মানুষজন এখনও সেভাবে সাড়া দেয়নি এ কার্যক্রমে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সহ জেলার ৯টি কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, ভ্যাক্সিন গ্রহন কার্যক্রম চললেও টিকা গ্রহন ও নিবন্ধন স্থানগুলোতে মানুষের তেমন উপস্থিতি নেই।

করোনা মহামারী নিয়ে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে সরকারের সকল বিভাগ প্রচারণা অব্যাহত রাখলেও এ পর্যন্ত জেলায় অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেছে মাত্র ৬০ হাজার ১৭৫ জন।এর মধ্যে ভ্যাক্সিনের ডোজ নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৮শ ২২ জন।
কুড়িগ্রামে মোট জনসংখ্যা ২২ লক্ষ ২৭ হাজার ২ শত ২৬ জন। জনসংখ্যার হিসেবে ভ্যাক্সিনের রেজিস্ট্রেশন অতি নগন্য।

কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম বলেন, মানুষকে এ মহামারীর বিষয়ে আরো সচেতন করতে হবে ,সকলকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে ভ্যাক্সিন গ্রহনের বিষয়ে।

অন্যদিকে কুড়িগ্রামে যে পরিমান লোক রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা সকলে ভ্যাক্সিন গ্রহন করলে যে পরিমাণ ভ্যাক্সিন আছে তা দিয়ে চাহিদা মিটবে। নতুন করে রেজিস্ট্রেশন বাড়লে ভ্যাক্সিনের নতুন সরবরাহ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এদিকে কুড়িগ্রামে করোনা ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় রাউন্ডের ডোজ প্রদান শুরু হয়েছে।গতকাল ১দিনে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২০২৭ জন।কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল সহ জেলার ৯টি কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলছে।শুধুমাত্র সরকারী ছুটির দিন বন্ধ থাকবে।

সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ১ম দফায় ৬০ হাজার ডোজ এর সাথে গতকাল জেলায় ৩০ হাজার ডোজ এসেছে যা দিয়ে ৯০ হাজার ভ্যাক্সিনের ডোজ দেয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবেনা।

এ পর্যন্ত কুড়িগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ জন। গত ২৬ মার্চ থেকে কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় সংক্রমনের প্রভাব দেখা গেছে।
এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৬৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ১০১২ জন। কুড়িগ্রামসদর হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছে ৪ জন আর ৩৬ জন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।