কৃষিকাজের পাশাপাশি ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভেড়া পালন। লাভজনক হওয়ার কারণে এ জেলায় ভেড়া পালনে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয়রা। কৃষকরা তাদের কৃষিকাজের পাশাপাশি বসতবাড়ির আশাপাশে পালন করছেন ভেড়া। ভেড়া পালনে তুলনামূলকভাবে খরচ ও পরিশ্রম কম লাগে, ফলে স্থানীয়রা আগ্রহী হয়ে শুরু করছেন ভেড়া পালন।
জানা যায়, এ জেলার কৃষকরা তাদের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ভেড়া পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এমনই একজন কৃষক হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের মোঃ হামিদুল ইসলাম। তিনি তার কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় বাড়িতে গরু পালন করতেন। কিন্তু বিভিন্ন রোগ ও গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গরু পালনে লোকসান হয় তার। ভেড়া পালনের জন্য যেমন বেশি পরিমাণ পুঁজির প্রয়োজন হয় না।
এছাড়াও ভেড়ার খাদ্য খরচও খুব বেশি হয় না। সারাদিন ভেড়াগুলোকে ছেড়ে দিয়ে রাখি। ভেড়াগুলো নিজে নিজেই খাওয়ায় পর বাড়িতে ফিরে আসে। সন্ধ্যার সময় ভেড়াগুলো বাড়িতে আসলে সামান্য ভুসি ও আটার সাথে পানি মিশিয়ে দিলে খেয়ে ঘরে শুয়ে থাকে।
উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গী গ্রামের হামিদুল ইসলাম প্রায় স্বাধীনতার পর থেকে ভেড়া পালন করে আসছেন। তিনি এখন প্রতিবছরে ৪ হতে ৫ লক্ষ টাকার ভেড়া বিক্রি করেন।
তিনি বলেন, ভেড়া পালন করে আমার প্রত্যেক মাসেই আয় হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। আর বছরে খামার থেকে ভেড়া বিক্রি হয় ৪ হতে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকার। আমার দেখাদেখি অনেকেই এখন ভেড়া পালন শুরু করেছেন। আমার কাছথেকে অনেকই পরামর্শ নিচ্ছেন ভেড়া লালনপালন করছেন ভেড়া পালনকারীদের সরকারীভাবে সহযোগিতা করা হলে আমরা আরও বেশি লাভবান হতাম।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ভেড়া পালন করে মামুনের সাফল্যের কথা আমরা শুনেছি। তিনি চাইলেই আমরা তার খামারের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হবে। এখন থেকে যারা ভেড়া পালন করতে চাইবেন আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন