কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলস হত্যায় তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে
২৯ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক টায়ার নিকোলস হত্যায় তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য তাকে পাকড়াও করে নির্যাতন করে পুলিশ। এতে মারা যান নিকোলস।
এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হতেই চারদিকে নিন্দা, ক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে মেমফিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের কথিত স্করপিয়ন স্পেশাল ইউনিটকে বাতিল করেছে। এই ইউনিটের সদস্যরা নিকোলসকে হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ। স্করপিয়ন ইউনিটের দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাস্তায় অপরাধ প্রতিরোধ করে শান্তি পুনঃস্থাপন। ৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত এই ইউনিট। বিশেষ এলাকায় তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া। কিন্তু ৭ই জানুয়ারি তারা ২৯ বছর বয়সী যুবক নিকোলসকে যেভাবে প্রহার করে হত্যা করেছে তাতে পুরো ইউনিটকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
মেমফিস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ইউনিটকে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করাই সর্বোত্তম পথ। অল্প কয়েকজনের হায়েনার মতো আচরণ স্করপিয়নের পুরো সুনামকে অসম্মানিত করেছে। পুলিশ বিভাগের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে নিকোলসের পরিবার। তারা আইনজীবীর মাধ্যমে একে টায়ার নিকোলসের ট্রাজিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে যথার্থ ও যথোপযুক্ত বলে মন্তব্য করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে গঠন করা হয় পুলিশের এই ইউনিট। ওই সময়ে গাড়ি চুরি এবং সুসংগঠিত গ্যাংদের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিতে চালু করা হয়েছিল স্করপিয়ন। কিন্তু নিকোলসকে হত্যার অভিযোগে গত সপ্তাহেই বরখাস্ত করা হয় ৫ কর্মকর্তাকে। তারা হলেন তাদারিয়াস বিন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র, এমিট মার্টিন থ্রি এবং জাস্টিন স্মিথ।
বৃহস্পতিবার তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে দেয় হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে সেকেন্ড ডিগ্রি হত্যা, ভয়াবহ নির্যাতন, অপহরণ, আচরণবিধি লংঘন এবং কর্মকর্তা পর্যায়ে নিষ্পেষণের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে জেল রেকর্ড বলছে, শুক্রবার সকাল নাগাদ এর মধ্যে চারজনকে জামিন দেয়া হয়েছে। মার্টিন এবং মিলসের আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের মক্কেল দোষ স্বীকার করবেন না।
ওদিকে মেমফিস সহ বিভিন্ন স্থানে এই হত্যার প্রতিবাদ বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে মেগাফোন হাতে স্লোগান দিচ্ছে মানুষ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে মেমফিস পুলিশ সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তারা। পুলিশি সিস্টেমে পরিবর্তন দাবি করছে জনতা। বলা হচ্ছে, পুলিশ বাহিনী মেমফিতে এবং দেশজুড়ে কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে নৃশংস আচরণ করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন