কেন নোবেলকে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী?

ভারতের জি বাংলা চ্যানেলে ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছেন বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল। বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্যের জেরে অসংখ্য মানুষের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন। তবে তিনি শুধু বাইরে নয়, নিজের ঘরেও খানিকটা অপছন্দের বটে! গত ১১ সেপ্টেম্বর নোবেলকে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন স্ত্রী সালসাবিল। বুধবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

সালসাবিল অভিযোগ করে বলেন, ‘নোবেল মানসিকভাবে চরম অসুস্থ,মাদকাসক্ত, নারী, নেশাসহ আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করত; সব কিছুর প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কারণে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এদিকে নোবেল নিজেও এদিন নিজের ফেসবুক পেজে ‘ডিভোর্স’ লিখে এক শব্দের একটি পোস্ট করেন।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত, যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ব প্রমাণের মাপকাঠি। এমনকি যে দেশে একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী নিরাপদ না। গোপনে ধারণকৃত পার্সোনাল মোমেন্টের ভিডিও দিয়ে স্ত্রীকে খুব সহজেই ব্ল্যাকমেইল করে রাখা যায় এবং তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইমও অবহিত।’

২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। চলতি বছরের ২৮ জুন নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’

কিন্তু স্ট্যাটাস দেয়ার দুই দিন পর অর্থাৎ ৩০ জুন নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল জানিয়েছেন, তিনি সন্তানসম্ভবা নন। সে সময় বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা হয়েছে।

তখন সালসাবিল জানিয়েছিলেন, ‘আমার বন্ধুরা আমাকে নোবেলের স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট ইনবক্সে দেয়। সেখানে জানতে পারি, নোবেল বাবা হতে চলেছে, আমি নাকি মা হতে চলেছি। কিন্তু আমি প্রেগনেন্ট নই। এরপর এ বিষয়ে কথা বলতে নোবেলের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যর্থ হই। কারণ ওর ফোনে কানেকশন পাচ্ছিলাম না। এদিকে আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ফোনে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মাতৃত্ব খুব স্পর্শকাতর একটি বিষয়। তা নিয়ে কোনো কিছুর স্টান্টবাজি করাটা এক ধরনের অপরাধ। নোবেল আমার কাছের মানুষ। তারপরও যদি এই বিষয় নিয়ে এমন কাজ করে থাকে, তবে আমি পুরো ব্যাপারটি নিয়ে খুবই লজ্জিত।’