কেন বাড়ানো হলো গ্যাসের দাম?

সব পর্যায়ে আবারও বাড়লো গ্যাসের দাম। আবাসিক এক চুলার গ্যাসের দাম ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা। নতুন এই দাম কার্যকর হবে কাল থেকে।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংবাদ সম্মেলনে এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন। দাম বাড়ানোর হার ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ। বিইআরসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানির কারণেই সমন্বয় করতে হয়েছে গ্যাসের দাম।

দেশের জ্বালানি সংকট কাটাতে দুই দফায় আমদানি করা হয় উচ্চমূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি। আর তা সমন্বয়ে আরেক দফা বাড়লো গ্যাসের দাম।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিকে এক চুলায় মাসিক বিল ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯২৫ টাকা, দুই চুলায় ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা করা হয়। আর মিটারযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১২ টাকা ৬০ পয়সা করা হয়। নতুন দামে সিএনজিতে প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা, শিল্প ও চা বাগানে ১০টাকা ৭০ পয়সা, বিদ্যুতে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা টাকা,সার কারখানায় ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, হোটেল রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা গুণতে হবে। আর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে প্রতি মিটারে আগের মতোই ১৭ টাকা ৪ পয়সা থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় গ্রিডে উচ্চমূল্যের সাড়ে ৮০০ ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হবে, সে হিসেব ধরে নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নতুন করে দাম বাড়ানোর কারণে আগামী অর্থবছরে গ্রাহকদের কাছ থেকে কাটা হবে ৮ হাজার ৬২০ কোটি টাকা।

এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলএনজি দামটা অনেক বেশি এবং আমাদের চাহিদাও বেশি। সেজন্য দামটা বেড়ে যাচ্ছে। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য দাম বাড়ানো হয় গ্যাসের।