কোভিশিল্ড নেওয়া ৮৪ শতাংশ মানুষই ডেল্টা মোকাবিলায় সক্ষম : আইসিএমআর

কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নিয়েছেন, এমন ৮৩.৯ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতিকে খতম করার মতো অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে।

একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে এমনটাই জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যালর রিসার্চ (আইসিএমআর)।

অর্থাৎ যাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে তেমন অ্যান্টিবডির খোঁজ মেলেনি, যা ডেল্টা প্রজাতিকে রুখতে দিতে পারে। কিন্তু যাঁরা কোভিশিল্ডের একটি টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫৮.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা প্রজাতির মোকাবিলায় সক্ষম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, বলছে ওই রিপোর্ট।

ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান টি জেকব জন বলেন, ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি মানে একেবারে নেই, তা নয় কিন্তু। অ্যান্টিবডি এতটাই কম তৈরি হয়েছে যে তা ধরা পড়েনি। কোমর্বিডিটি অর্থাৎ মেধুমেহ, হাইপারটেনশন, হৃদরোগের সমস্যা যাঁদের আছে, এবং ৬৫-ঊর্ধ্ব যাঁদের বয়স, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি কমই তৈরি হয়। পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে তাঁদের হয়তো তৃতীয় টিকা নিতে হতে পারে।’

দু’টি টিকায় অ্যান্টিবডি তৈরি না হলে ৬৫-ঊর্ধ্বদের বুস্টার টিকা নেওয়া জরুরি, বললেন বিশেষজ্ঞরা

কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেয়ার পর ৬৫-ঊর্ধব এবং কোমর্বিড রোগীদের একাংশের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না। তাঁদের হয়ত তৃতীয় অর্থাৎ বুস্টার টিকা নিতে হতে পারে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যালর রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

একটি সমীক্ষা চালিয়ে আইসিএমআর জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের দু’টি টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ১৬.১ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে ডেল্টা প্রজাতিকে মোকাবিলা করার মতো অ্যান্টিবডির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

সেই বিষয়টি নিয়ে ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান টি জেকব জন বলেন, ‘খুঁজে পাওয়া যায়নি মানে একেবারে নেই, তা নয়। অ্যান্টিবডি এতটাই কম তৈরি হয়েছে যে তা ধরা পড়েনি।’

ওই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হতে পারে, মূলত সুস্থ-সবল ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির খোঁজ মেলেনি, তাঁরা হয় ৬৫ ঊর্ধ্ব অথবা তাঁদের কোমর্বিডিটি অর্থাৎ মধুমেহ, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের সমস্যা আছে। যাঁদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তাঁদের শরীরে এমনিতেই কম অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। দেহে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে তাঁদের হয়তো তৃতীয় টিকা নিতে হতে পারে।’