ক্ষমা চাইলেন পাইলট ফজল মাহমুদ

বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিশেষ এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান, যেটি ধরা পড়ে সেদেশের ইমিগ্রেশনে। পরে তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে রাখা হয়।

আইন অনুযায়ী, পাসপোর্ট ছাড়া কারো দেশত্যাগ কিংবা অন্য দেশে প্রবেশের সুযোগ নেই।

ঘটনার পর রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তার পাসপোর্টটি কাতারে পাঠানো হয়।সেইসঙ্গে ফজল মাহমুদকে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়।তার পরিবর্তে পাঠানো হয়েছে ক্যাপ্টেন আমিনুলকে।

এদিকে ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে ক্ষমা চেয়েছেন পাইলট ফজল মাহমুদ।

শুক্রবার দুপুরের দিকে কাতারের দোহার ক্রাউন প্লাজা হোটেল থেকে টেলিফোনে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টলকে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ফ্লাইট করতে আসার সময় এভাবে পাসপোর্ট রেখে আসা অনিচ্ছাকৃত হলেও এই দায় আমার নিজের। আমি আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ভবিষ্যতে এই ঘটনা আমার জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।

বিমানের নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধা ও রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ফজল মাহমুদ বলেন, আমার অনিচ্ছাকৃত ভুলটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনায় নিয়ে আমাকে ভিভিআইপি ফ্লাইটে বহাল রাখতে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিজেকে শতভাগ সুস্থ ও স্বাভাবিক দাবি করে তিনি বলেন, ত্রিশ বছর বিমানে চাকরি করছি, প্রতিনিয়ত ভিভিআইপি ফ্লাইট করেছি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবেও আমাকে চেনেন। কোনোদিন ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে অবহেলা করিনি।

তিনি বলেন, আমি যখন দেখলাম আমার সঙ্গে পাসপোর্টটি নেই, সঙ্গে সঙ্গে আমি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে ট্রানজিট পয়েন্টের অরিস এয়ারপোর্ট হোটেলে গিয়ে উঠি। গতরাত (বৃহস্পতিবার) সোয়া এগারোটার দিকে বিমানের স্টেশন ম্যানেজার ইলিয়াসের কাছ থেকে পাসপোর্ট গ্রহণের পর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে চলে আসি। ঘটনা এইটুকুই। অথচ প্রকৃত ঘটনা না জেনে আমার দেশের মিডিয়া কাল্পনিক কথাবার্তা প্রচার করে যাচ্ছে। আমি স্বাভাবিক আছি।

তিনি আরও বলেন, ভুলবশত পাসপোর্ট সঙ্গে না থাকলে ইমিগ্রেশন কোনো ক্রুকে আটক করা হয় না। বরং তখন পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্টস নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। আমাকেও তাই বলতো। আমি পাসপোর্ট না থাকায় ইমিগ্রেশনে না গিয়ে হোটেলে চলে যাই।