ব্রিজ ভেঙে দীঘিনালা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
খাগড়াছড়িতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে ৭শতাধিক পরিবার পানিবন্দি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে টানা বর্ষণের কারণে খাগড়াছড়ির নদ-নদীতেগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার চেঙ্গী ও মাইনি নদীর তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, খবংপুড়িয়া, বাঙ্গালকাটি, রাজ্যমনি পাড়া, বটতলী, কালাডেবা প্রভৃতি এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার পানিতে আটকা পড়েছেন।
ইতোমধ্যে খাগড়াছড়ির মুসলিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ২০টির মতো পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া দীঘিনালার ৫টি কেন্দ্রে ১০০পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহ আলম জানান, পানি বাড়তে থাকায় আরো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে দীঘিনালায় তীব্র পানির স্রোতে জামতলি ব্রিজের একাংশ ভেঙ্গে গেছে। ফলে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালা উপজেলার জামতলি বেইলি ব্রিজের ক্ষতিগ্রস্ত পূর্বপাড়ের অংশ মেরামত করার চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী ও ঠিকাদারের লোকজন।
এব্যাপারে স্থানীয় আক্তার হোসেন জানান, ভোরে প্রবল বর্ষণ এবং ছড়ার তীব্র স্রোতে ব্রিজের পূর্ব পাড়ের সংযোগ সড়কে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ফলে দীঘিনালা-খাগড়াছাড় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মেরামতের পর এখন থ্রি হুইলার এবং মোটরসাইকেল এবং লোকজন পায়ে হেটে চলাচল করতে পারছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘনশ্যাম ত্রিপুরা মানিক বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে প্রবল স্রোতে জামতলী বেইলি সেতুর একপাশের ভরাট কৃত মাটি সরে গিয়ে সেতুটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বর্তমানে দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীদের সহযোগিতায় যানচলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করা হচ্ছে।
অপরদিকে টানা ও ভারী বর্ষণে গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ঢালুতে গড়ে উঠা ঘর-বাড়ি সহ খাল বিল, রাস্তাঘাটে ইতোমধ্যে পাহাড় ধসের আংশিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও সিন্দুকছাড়র পঙ্খীমুড়ায় পাহাড় ধসে সিন্দুকছড়ি মহালছাড় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরলস ভূমিকায় সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা চলাচলের উপযোগী করতে সক্ষম হয় সিন্দুকছড়ি জোন।
জোন সিকিউরিটি অফিসার মেজর আসাদুজ্জামান খন্দকার বলেন, এই ভারী বর্ষণে কোনো জায়গায় কোনো মানুষ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে আমরা খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি এবং পাহাড়ের ঢালুতে থাকা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন