খালেদার নোটিশ হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা : আইনমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঠানো আইনি নোটিশ হাতে পাওয়ার পর অাইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অানিসুল হক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া নোটিশ আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, লিগ্যাল নোটিশ আমরা এখনো হাতে পাই নি। পাওয়ার পর এটা নিয়ে আলাপ আলোচনা হবে। এরপর জবাব দেয়া হবে। লিগ্যাল নোটিশ একটি আইনি পদক্ষেপ, আমরাও আইনি প্রক্রিয়ায় তার জবাব দেবো।

সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের সম্পদ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (১৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার উকিল নোটিশ পাঠান বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

নোটিশে বলা হয়েছে, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কটূক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদপূর্ণ ও মানহানিকর, যা খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সুনাম সম্মান সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশে ও বিদেশে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।

এই লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে আমরা আপনাকে বেগম খালেদা জিয়ার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং উক্ত ক্ষমা অত্র আইনি নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সব জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র এবং সামাজিক মাধ্যমে আউটলেটে যথাযথভাবে প্রকাশ ও প্রচার করার আহ্বান জানাচ্ছি, অন্যথায় আপনার বিদ্বেষপূর্ণ, মানহানিকর এবং কপট ও কুটিল বিবৃতির কারণে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের উপরে নির্দেশ রয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনেও এই তথ্য জানান। গত (১৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার এই নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন নোটিশের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে কম্বোডিয়া সফরের ওপর সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিষয়ে বলেন, বিদেশে বিভিন্ন দেশে তাদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বের হয়ে আসছে। এগুলো তো বাংলাদেশ সরকার করছে না। কাজেই ক্ষমা তাদেরই চাওয়া উচিত। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ নিয়ে এ দেশের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি সৌদি আরবে সেই শপিং মলে বিনা পয়সায় শপিং করার জন্য কার্ড পেয়েছেন। দু-একটি ছাড়া কোনো পত্রিকা-টেলিভিশনে তো রিপোর্ট দেখলাম না। আপনাদের এত দুর্বলতা কিসের জন্য। আমার নাম এলে কী করতেন? সৎসাহস হলো না রিপোর্ট দেয়ার।

তিনি বলেন, যারা এত সম্পদের মালিক, তারা জানে মুখ বন্ধ কীভাবে করতে হয়। মুখে ‘রসগোল্লা’ ঢুকিয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) প্রশ্নের উত্তর কেন দেব? এরপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।