খালেদা জিয়ার কথায় দেশতো দুরের কথা, বিএনপিই চলে না : এনামুল হক শামীম

পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার দায়ে বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় জেলের পরিবর্তে তিনি এখন বাসায় আছেন। তার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলো। তার কথায় নাকি আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে! বিএনপির নেতাকর্মীদের এমন উদ্ভট বক্তব্যে দেশের মানুষের মানুষের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীরাইতো তার কথা চলে না। কারণ, বিএনপিদের বিবেকও তো নাড়া দেয়ার কথা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দূর্নীতিবাজ। কোনো বিবেকবান মানুষ কোনো দূর্নীতিবাজের কথা চলতে পারে না। আর মানবতার মা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, মেধা ও দক্ষতায় সেরা। একারণে এদেশের মানুষ তাঁর নেতৃত্বেই একমাত্র ঐক্যবদ্ধ।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) শরীয়তপুরের নড়িয়ার ভূমখাড়া ইউনিয়ন উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপ-মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি জনসভা ও সমাবেশের নামে যতোই চক্রান্তের জাল বুনুকনা কেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ’কে নির্বাচনে পরাজিত করা সম্ভব নয়।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগনের সেবা করে তাদের মন জয় করেই বিজয়ী হওয়া যায়। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাইতো জনগণের রায় ছাড়াই কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় সেই ফন্দি আটছে। এই ভ্রান্ত পথ এ দেশের জনগনের কাছেও হাস্যকর মনে হচ্ছে। বিএনপি’র ক্ষমতায় যেতে হলে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তাইতো বিএনপি যদি নির্বাচনে বিজয়ী হতে চায় তবে সংঘাত ও ভ্রান্ত পথ পরিহার করে এখন থেকেই জনস্বার্থে দেশের আগামীর সংকট মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের অনুুকম্পার উপর নির্ভর করতে হবে।

উপমন্ত্রী শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের সেরা যাদুকর। স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর বাংলাদেশ উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। অনেক ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকার বেড়াজাল ছিন্ন করে ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হাত ধরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দেশের উন্নয়ন নতুন করে ঘুরে দাড়াতে শুরু করে। মাঝ খানে বিএনপি উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার পরে আবার যখন শেখ হাসিনা’র সরকার ক্ষমতায় ফিরে এবার শুরু করেন উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তাইতো এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভুল করবে না।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার শুধু শহরের উন্নয়নের দিকেই নজর দেননি, গ্রাম বাংলার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন। সরকার দুুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের বিদ্যুতের আলোর ব্যবস্থা করতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়ে গ্রামকেও শহরে রুপ দিয়ে শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি, শহরের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করেছেন পল্লীবাসীর জন্য। এরই সাথে ইন্টারনেট সুবিধা সম্বলিত ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করে মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন কষ্ট লাঘবের যাদুর কাঠি।

ভূমখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সহ-সভাপতি আব্দুল ওহাব বেপারী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ রাশেদউজ্জামান, নড়িয়াপৌরসভার মেয়র এ্যাড.আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নড়িয়া থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান প্রমূখ।