খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ছে

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠবারের মতো আরও ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের শর্তেই তার সাজার মেয়াদ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। এ সময় তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। তবে দেশে যে কোনো হাসপাতাল বা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা নিতে বাধা থাকবে না।’

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করে তার পরিবার।

তারও আগে গত ১৬ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।

ওইদিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যান বিএনপি নেত্রী। দণ্ড বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করার পর দুর্নীতি দমন কমিশন আপিল করে সাজা বাড়ানোর।ওই বছরের অক্টোবরে সাজা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়।

উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান। ২০২০ সালের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বজনদের পক্ষ থেকে করা এই আবেদনে সাড়া দেন শেখ হাসিনা।

দুটি শর্তে খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগের কথা জানানো হয়। এর মধ্যে একটি ছিল তিনি দেশের বাইরে যাবেন না, অন্যটি ছিল তিনি বাড়িতেই চিকিৎসা নেবেন।