খুলনার কয়রায় মাদক মাফিয়া ডনের সাংবাদিক সম্রাটকে ফাঁসানোর স্বীকারোক্তি ফাঁস
খুলনার কয়রা উপজেলায় মাদক চোরাচালান ও মাফিয়াদের নিয়েই সংবাদ প্রকাশ করায় নড়েচড়ে বসে উপজেলার মাদক মাফিয়া চক্র। শুরু হয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা।
যে ষড়যন্ত্রের জট উন্মোচিত হয় শুক্রবার (৪ নভেম্বর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইউ. এইচ রুহিনা জেসমিনের স্বামী শরীফ অহিদুজ্জামান মিলনের স্বীকারোক্তিমূলক অডিও’তে। স্বীকারোক্তি বক্তব্যে মাদক ডন শরীফ অহিদুজ্জামান মিলন কয়রা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক ওবায়দুল কবির সম্রাটকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে সম্রাটকে অনেক বিপদে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন ওই গাঁজা, মদ, হিরোইন মাদকাসক্ত ভূমি ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর শরীফ অহিদুজ্জামান মিলনের (৪৫) সাথে সাংবাদিক সম্রাট কয়রা থেকে খুলনা হয়ে ফেরার পথে সন্ধ্যায় বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন দলিল লেখক অসিত বিশ্বাসের রুমে যায় তারা। সেখানে শরীফ অহিদুজ্জামান মিলন ও এক নারী ও অন্যরা নাস্তার সাথে কোমল পানীয় পান করায় তাকে। এতে ওই সাংবাদিকের মাথা ঝিমঝিম করে ঘুরতে থাকে। খোঁজ পেয়ে তার মামা রেজা আহম্মেদ ও ভাই নিউটন তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরের দিন দুপুর পৌনে ১২টায় শরীফ অহিদুজ্জামান মিলন সম্রাটকে মেসেঞ্জারে একটি ভিডিও পাঠায়। ভিডিওটিতে অজ্ঞাতসারে কতিপয় স্বনামধন্য ব্যক্তিদের গালমন্দ করতে দেখা যায় সম্রাটকে। ষড়যন্ত্রের ফাঁদ বুঝতে পেরে নিরাপত্তার জন্য সে কয়রা থানায় ১০১৫/২০২২ নং সাধারণ ডায়েরি করেন।
এবিষয়ে সাংবাদিক ওবায়দুল কবির সম্রাট বলেন, আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে ও পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে একটা মাফিয়া চক্র। এতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মূলহোতা ও অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেবো।
কয়রা থানার ওসি এবিএম দোহা (বিপিএম) বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স চলমান রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বিবাদ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি। ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন