গনমানুষের কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী
আবদুল হাই ইদ্রিছী : জাতীয় কবি কাজী নজরূল ইসলাম বলেন- ”গাহি সাম্যের গান মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান। কবি চন্ডীদাস বলেন- ”শোনো হে মানুষ ভাই! সবার উপর মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই।” ভারতের বিখ্যাত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার কন্ঠে সুর ধ্বনিত হয়েছে- ”মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভ’তি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু মানুষ মানুষের জন্য। মানুষ যদি সে না হয় মানুষ দানব কখনো হয় না মানুষ। হারানো ইতিহাস ফিরে এলে, লজ্জা কি তুমি পাবে না ও বন্ধু মানুষ মানুষের জন্য। শেখ ফজলুল করিম বলেন- ”প্রেম-প্রীতির পূর্ণ বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
হা, মানুষ মানুষেরই জন্য, তবে সেই মানুষ যার কাছে মানবতা মানে মনুষত্ব বা মনুষ্যধর্ম আছে। মানবতা মহৎ গুন। মানবতার গুনেই মানুষ আদর্শ মানুষ হয়। মানবতার উৎকর্ষ ও উন্নতি সাধনের লক্ষ্যেই ধর্মের আগমন। মানবতা বিলিন হলে এপৃথিবী ভরে যেত পঙ্কিলতায়। আজ এমন একজন মানুষকে পাঠকের সামনে হাজির করতে বসেছি যিনি মানুষ হিসেবে মানুষের জন্যে কিছু করতে চান। জীবন ভর যিনি মানুষকে ভালবেসে যাচ্ছেন। যিনি সমাজও রাষ্টের অপরাধ চিত্রকে সততা ও জ্ঞানে বদলিয়ে দিতে চান। সেই মহান ব্যক্তি হলেন ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পদ ও সৌন্দর্য্যরে প্রতিক, হাজার বছরের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রভ’মি, হযরত শাহজালালের (র.) স্মৃতিধন্য সিলেট নগরীর সাহিত্য যোদ্ধা, সত্তর ও আশির দশকে সিলেটে সাহিত্য সংস্কুতিক আন্দোলনের প্রধান পুরূষ, কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সম্পাদক, প্রকাশক ও সাহিত্য সংগঠক রাগিব হোসেন চৌধুরী।
১৯৫২ সালের ১১ই এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাতপুর গ্রামে জন্ম নেয়া কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী এক বিপ্লববাদী আদর্শ কলম যোদ্ধা। অন্যায় অসত্যের বিরূদ্ধে তার কলম সদা বেগবান। সময় ও আধুনিকতার বৈরী স্রোতের আবর্তে তিনি হারিয়ে যাননি। পিছপা হননি তার ব্যক্তিগত বিশ্বাস আদর্শ থেকে। যশ, খ্যাতি সহ তার বৈভবেরও কোন অভাব নেই। নীতি ও আদর্শের বেলায় স্বাজাত্যবোধ, কৃষ্টি ও তমুদ্দুনের বাইরে গিয়ে সাহিত্য চর্চায় তিনি আত্ননিয়োগ করেননি।
১৯৬৯সাল। বিশ্বাস ও মূল্যবোধের চরম সংকটের সন্ধিক্ষণ। সেই সন্ধিক্ষণে বিশ্বাসের স্বপক্ষেই শুরূ হয় তার যাত্রা। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় সাপ্তাহিক ’জাহানে নও’ এ প্রকাশিত হয় কবির প্রথম লেখা। সেই থেকে শুরূ, থামেননি আজও। একের পর এক প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর লেখা। তিনি শুধু কবিতার মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকেননি। সমাতালে বস্তুনিষ্ট, চিত্রকল্প উপমা নিয়ে সহজ সরল নিরাভরণ ভাষায় লিখে চলছেন কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, জীবনী ইত্যাদি।
শিল্পের জন্য শিল্প নয় মানুষের জন্য শিল্প এই মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’স্বাগত সংলাপ’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৩সালে। দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের বুঝার মতো সহজ সরল ভাষায় লিখা কবিতাগুলোকে নিয়ে কবি যেতে চেয়েছেন সাধারণ মানুষের একান্ত কাছে।
স্বাধীনতা পরবর্তি ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত কবির প্রথম উপন্যাস ”মুক্তির ময়দানে কখনো নীরব নয়” সে সময়ের এক অনবদ্য সমাজ দর্পন হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত ও নন্দিত হয়। উপন্যাসটি সম্পর্কে কবি আফজাল চৌধুরী লিখেন-
”রাগিব হোসেন চৌধুরী এক প্রত্যয়দীপ্ত সৈনিক মেজাজের তরুণ। একজন স্বপ্নবদ্ধ। রিভ্যুলেশনারী বিপ্লবী বাংলার দলিল দস্তাবেজের পৃষ্টায় এখনো যাদের স্মৃতি অবসিত নয় তেমনি কোন ক্ষুদিরাম বা বেনজির আহমেদ মেজাজের একজন উত্তরসুরী তিনি। তিনি আরো লিখেন- ”মুক্তির ময়দানে কখনো নিরব নয় গ্রন্থের বিপরীত উচ্চারণমালাকে অভিনন্দর না করে উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে লেখক যে বৈপ্লবিক বিষয়কে উপজীব্য করেছেন তাতে তাঁর দৃষ্টিতে মৌলিকত্ব উজ্জল রূপেই প্রতিফলিত।”
এ উপন্যাসটি সম্পকে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সিটিউটটের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইতিহাসবিদ সৈয়দ মুর্তাজা আলী লিখেন- ”আপনার ভাষা সাবলীল এবং প্রকাশভঙ্গী অনবদ্য। সাহিত্য ক্ষেত্রে আপনার উজ্জল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত পেলাম।”
১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর বিখ্যাত কবিতা গ্রন্থ ”রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন”। বহুল আলোচিত গ্রন্থটির রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন কবিতাটিতে কবি অত্যান্ত বৈচিত্র্যময়তার সহিত একজন রোকেয়া ভাবীর সাথে কথা বলতে বলতে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষত রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরেছেন। বলেছেন তার বিশ্বাসের কথা। কবি লিখেছেন-
রোকেয়া ভাবী আপনার মতামত কি?
বিরোধীদলগুলো এক মঞ্চে আসছে না।
নূর হোসেনের কবিতার কথা আপনাকে বলা হয়নি
যে যুবক বুকে পিঠে গনতন্ত্রের দাবী নিয়ে
রাজপথে একাই দশ কোটি মানুষের প্রাণের কথা
জানিয়ে স্মরণীয় হলো।
রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন গ্রন্থ সম্পর্কে কবি আবদুল হালীম খাঁ লিখেন- ”বাংলা কাব্যে বহু প্রতিভাবান কবিই অনেক উন্নতমানের কবিতা রচনা করে পাঠক সমালোচক মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এবং জনপ্রিয় হয়েছেন। এদের মধ্যে কবি ইসমাইল হোসেন সিরাজী‘র ’অনল প্রবাহ’ কাজী নজরুল ইসলামের ’বিদ্রোহী’ জসিম উদ্দিনের ’কবর’ এবং ফররূখ আহমদের ’সাত সাগরের মাঝি’ বিশেষ বিখ্যাত। কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীও ’রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন’ এমন একটি কবিতা। রাগিব হোসেন চৌধুরীও তার কাব্য কলায় প্রচলিত রসম রেওয়াজ বর্জন করে আধুনিক বাংলা কাব্যের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন গনশিল্প কাব্যের দিকে, কর্মমুখর জীবনের দিকে, শ্লোগান চিৎকারে উত্তপ্ত রাজপথের দিকে, নতুন পৃথিবীর দিকে। ’রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন’ পাঠ করে এ কথা আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলতে পারি যে, রাগিব হোসেন চৌধুরী প্রকৃত গনমানুষের কবি, বর্তমান সমাজ, রাষ্ট্র, জাতীয় ঐতিহ্য এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ের স্বার্থক রূপকার।”
সত্তর দশকে ঝিমিয়ে পড়া সিলেট অঞ্চলের সাহিত্য পরিবেশকে মাতিয়ে তুলেছিলেন কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী। তাঁর সাহিত্য আন্দোলন সিলেট এলাকায়ই শুধু সীমাবদ্ধ থাকেনি জাতীয় সাহিত্যমোদীদেরও দৃষ্টি আকর্ষন করেছিল। তাঁর সর্বপ্রথম সম্পাদিত ও প্রকাশিত পত্রিকা মাসিক জাগরণ। সত্তর দশকের শুরূতে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকাটি ছিলো স্বাধীনতা উত্তর সিলেট সাহিত্যের ব্যতিক্রম ও বহুল প্রচারিত জনপ্রিয় পত্রিকা। এই মাসিকের মাধ্যমেই সে সময়কালের অনেক কবি, সাহিত্যিক ও লেখক সংগঠিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি সম্পাদনা করেছেন পাক্ষিক রেঁনেসা, পাক্ষিক সিলেট পরিদর্শক, সুরমা প্রবাহ, পাক্ষিক জগন্নাতপুর পরিক্রমা, মাসিক ভিলেজ ডাইজেস্ট ও উপমহাদেশের প্রাচীনতম বাংলা সাহিত্য পত্রিকা মাসিক আল ইসলাহ’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মুহাম্মদ নুরূল হকের ইন্তেকালের পর রাগিব হোসেন চৌধুরীর সম্পাদনায় নিয়মিত ৪ বছর প্রকাশিত হয়েছে ’আল ইসলাহ’। তাঁর বলিষ্ঠ সম্পাদনায় আল ইসলাহতে এসেছে রেঁনেসা। আল ইসলাহ সম্পাদনা করাও কবির জীবনের সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। এছাড়াও তার সম্পাদনায় বেরিয়েছে অনেকগুলো পত্র-পত্রিকা ও সংকলন।
সাপ্তাহিক সিলহট কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাগিব হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি স্বচিত্র স্বদেশ, বাংলার মুখ, দৈনিক সিলেটের ডাক, আজাদ, দৈনিক বাংলা, বিচিত্রা, সাপ্তাহিক জাহানে নও, সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, স্বদেশ, হককথা, সংগ্রাম, বিক্রম ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত নতুনদিন পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকাতে বিভিন্ন সময়ে প্রতিনিধি, সংবাদদাতা, বিভাগীয় সম্পাদক ও কলাম লেখক হিসেবে কাজ করেছেন এবং করছেন।
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন সাহিত্য, সাংস্কুতিক ও সামজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং আছেন। ৭০ দশকের সূচনালগ্নে সুরমা সাহিত্য গোষ্ঠী, শাপলা কুড়ি শিশু কিশোর সংগঠনের সিলেট জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক, জালালাবাদ মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সিলট একাডেমীর জীবন সদস্য ও সাধানর সম্পাদক, সংলাপ সাহিত্য সংস্কৃতি ফ্রন্ডের সাধারন সম্পাদক, সিলেট লেখক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন। দায়ীত্ব পালন করেছেন দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য সংগঠন সিলেট বিভাগের মননশীলতার প্রতীক কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সেক্রেটারী হিসেবে পাঁচ বছর, বর্তমানে তিনি সংসদের সহ-সভাপতি।
কবি আবদুল হালীম খাঁ’র ভাষায়- ”রাগিব হোসেন চৌধুরী একজন সুপরিচিত সাহসী সাহিত্য যোদ্ধা। তিনি সত্তর দশকের শুরূতে সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন। সাহিত্যাঙ্গনে তার আগমন কোন আড়ালে আবডালে নয়, বরং সরবে, সদলবলে। সে এক রীতিমত স্বরনীয় ঘটনা। এসেই তিনি গড়ে তোলেন সাহিত্য সংগঠন, প্রকাশ করেন পত্র-পত্রিকা, একটি নয়-দুটি নয় অনেক, সম্পাদনা করেন বেশ কটি পত্রিকা। করেন সাহিত্য সভা, কবিতা পাঠের অনুষ্টান, সম্মেলন-সেমিনার। ঝিমিয়ে পড়া সিলেট শহরকে অল্প দিনের মধ্যে নাচিয়ে তোলেন।
শুধু শহর নয়, বৃহত্তর সিলেটের সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ঝাকিয়ে নাড়িয়ে সবল ও বেগবান করে তোলেন। সাংগঠনিক যোগ্যতা ও কর্ম চঞ্চলতায় তরূন কর্মীদের নিয়ে যে আন্দোলন গড়ে তোলেন তাতে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খ্যাতিমান প্রবীনরাও যুক্ত হন। এভাবে সত্তর ও আশি দশক সিলেটকে রাগিব চাঙ্গা করে রাখেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। তাঁর এই সাড়া জাগানো সাহিত্য আন্দোলন দেশের সচেতন সকল কবি সাহিত্যিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে এবং দেশের কবি সাহিত্যিকদের তিনি অনেকটা সিলেটমুখি করে তোলেন। ”জাগৃতি প্রকাশনী” থেকে প্রকাশ করেন সাহিত্য মাসিক ”জাগরন”। (সূত্র- দৈনিক সিলেটের ডাক)
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যাও কম নয়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তার ১৬টি গ্রন্থ্। তা হলো- ১. মুক্তির ময়দানে কখনো নিরব নয় (উপন্যাস) ২. কথকতাঃ কবিতা প্রসঙ্গ (প্রবন্ধ) ৩. ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না (নাটক) ৪. কমলের কণ্ঠ (শহীদ জিয়ার জীবনী) ৫. ফোরাতের তীর বেয়ে (প্রবন্ধ) ৬. স্বাগত সংলাপ (কবিতা) ৭. নিষিদ্ধ কবিতা (কবিতা) ৮. রোকেয়া ভাবী কেমন আছেন (কবিতা) ৯. রাগিব হোসেন চৌধুরীর কলাম (প্রবন্ধ) ১০. অশ্রƒ নয় রক্ত (উপন্যাস)।
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী তাঁর সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ লাভ করেছেন ইংলেন্ডের সদা হাস্যজ্জল, ব্যক্তিগত জীবনে নম্র, ভদ্র ও উদার হৃদয়ে অধিকারী কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী তারূণ্যের সীমানা পেড়িয়ে এখন বিচরন করছেন প্রবীনের সারিতে। ১১ই এপ্রিল ২০১৫ইং কবির ৬৩তম জন্মদিন। জীবনের অসংখ্য ঘাত-প্রতিঘাতে জর্জরিত, উচ্চ রক্তচাপের উৎপাত সত্বেও তিনি এখনও কাজ করে চলছেন। সাহিত্য সাধনায় এখনও তিনি নিরলস ও বিরামহীন। বিভিন্ন সংগঠন, সেমিনার, সভা সমিতিতে রাখছেন সক্রিয় ভূমিকা- যা এক বিরল পাওয়া। রাগিব চৌধুরী আমাদের প্রেরণার উৎস। আমাদের প্রত্যাশা তাঁর কাছ থেকে আরও পাওয়ার। কেননা কবির সামনে এখনও কর্মমুখর আলো ঝলমল দিন। তিনি লিখেছেন-
”প্রতিটি সুবহে সাদেক
ঘুম থেকে জেগে মনে হয়
সদ্য জন্ম নেয়া শিশু
আমি বুঝি পৃথিবীতে
এইমাত্র এলাম।”
(কবি সংলাপ)
আবদুল হাই ইদ্রিছী : সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও কবি। সম্পাদক: মাসিক শব্দচর।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন