গফুর নামে টিকিট কেটে খুলনা থেকে বাসে ওঠেন ফরহাদ মজহার
‘মি. গফুর’ নামে বাসের টিকিট কেটে কবি, বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার খুলনা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন বাসটির সুপারভাইজার হাফিজুর রহমান।
টানা ১৮ ঘণ্টা ‘নিখোঁজ’ রহস্যের পর সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর থানা এলাকায় হানিফ পরিবহনের ৫০৫ নং এসি কোচ থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
বাসটির সুপার ভাইজার হাফিজুর রহমান জানান, ফরহাদ মজহার বাসটির আই-৩ সিটের যাত্রী ছিলেন। তিনি খুলনার শিববাড়ি কাউন্টার থেকে বাসে ওঠেন। বাসে উঠেই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। নওয়াপাড়ার কাছাকাছি স্থান থেকে তিনি টিকিট চেক করেন। তার টিকিটে নাম লেখা ছিল মি. গফুর। নওয়াপাড়ায় পৌঁছানোর পর পুলিশ তাকে গাড়ি থামাতে নির্দেশ দেয়। অভয়নগর থানা পুলিশ ফরহাদ মজহারকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। এরপর র্যাব সদস্যরাও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
ঘটনাস্থলে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ফরহাদ মজহার গাড়িতে স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি খুলনার শিববাড়ি কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
এর আগে ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে সোমবার দুপুরে রাজধানীর আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী ফরিদা আখতার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোর ৫টার পর থেকে তার (ফরহাদ মজহার) কোনো খোঁজ মিলছে না। সকালবেলা কে বা কারা ফোন করে। নিচে নামামাত্র তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তার স্ত্রীর কাছে ফোন আসে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপরই তিনি পুলিশে অভিযোগ দেন।
দিনভর র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে চলে ফরহাদ মজহারের অবস্থান শনাক্ত ও উদ্ধারের নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগর থানা এলাকায় খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন