আদাবর থানা থেকে ডিবি কার্যালয়ে ফরহাদ মজহার

যশোরের নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধার করা কবি, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারকে আদাবর থানা থেকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে তাকে যশোর থেকে ঢাকায় আনা হয়।

সোমবার রাতে র‌্যাব ৬ নওয়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে আদাবর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) হাফিজ আল ফারুকের নেতৃত্বে তাকে যশোর থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি দল যশোর থেকে একটি মাইক্রোবাসে (গাড়ি নম্বর- ঢাকা মেট্রো চ ১৩৪১৩১) করে তাকে নিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা পৌঁছায়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আদারবর থানায় তার স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সমতলী হক আছেন।

সমতলী হক বলেন, ‘বাবাকে দেখে খুব সিক ও বিধস্ত মনে হচ্ছে। বাবাকে আগে এমন দেখিনি। আমরা তার হেলথ নিয়ে চিন্তিত।’

ব্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ব্যাগ সঙ্গে নিয়েছেন কিনা তা তো জানি না। বাট উনি প্রায়ই একটা ব্যাগ সঙ্গে রাখেন বই পড়ার জন্য। তবে তার কাছে যেমন ব্যাগ দেখা গেছে তেমন ব্যাগ উনি ইউস করেন না। এ ব্যাগ কোথায় থেকে আসলো জানি না।’

র‌্যাব ৬-এর সিও খন্দকার রফিকুল ইসলাম সোমবার জানিয়েছিলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে খুলনায় নেওয়া হচ্ছে।’ অবশ্য রাত ১২টা ৫০ যশোরের অভয়নগর থানার ওসি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ফরহাদ মজহার থানা হেফাজতে রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা বলেন, র‌্যাব ৬ নিশ্চিত হয়েই নওয়াপাড়ায় অবস্থান নিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করে। এ সময় অভয়নগর থানা পুলিশও আমাদের সহায়তা করে। সেখানে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাসের আই-২ সিট থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই সোমবার ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’