গভীর রাতে কম্বল নিয়ে শীতার্তদের পাশে রংপুরে মিঠাপুকুরের ইউএনও
কনকনে শীতে কাঁপছে সারা দেশ। এতে চরম বিপাকে পড়ছে উত্তরের জনপদ রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষ। এ সময় শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাড়াতে গভীর রাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মণ।
এ বছর চাহিদার তুলনায় শীতবস্ত্রের বরাদ্দ কম কিন্তু দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় প্রকৃত দুস্থদের কাছে কম্বল বিতরণ করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি।
বুধবার গভীর রাতে হঠাৎ করেই উপজেলার রানিপুকুর আল্লাহ চত্তর এবং খোড়াগাছ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে তার নিজ হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করতে দেখা গেছে তাকে।
স্থানীয় জন সাধারণ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সপ্তাহ ধরে এভাবে তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে বিভিন্ন এতিম খানা, লিল্লাহ বডিং, হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ ছিন্নমূল অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ। কনকনে শীতের রাতে হঠাৎ যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মণের হাতে শীতবস্ত্র দেখে ছিন্নমূল দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীরা আবেগে আপল্লুত হয়ে পড়েন।
এ শীতবস্ত্র উপজেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ছিন্নমূল গরীব ও অসহায় শীর্তাত মানুষের মাঝে বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান, মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ।
শীতবস্ত্র (কম্বল) পাওয়া একাধিক শীতার্ত ব্যক্তি বলেন, এ সপ্তাহে শীত অনেক বেড়েছে। সুর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই শীতের রাতে ইউএনওর দেওয়া শীতবস্ত্র (কম্বল) তাদের অনেকটাই রক্ষা করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন