গভীর রাতে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন রহস্যজনক : রিজভী

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ১৯৬ কর্মকর্তাকে যুগ্ম-সচিব হিসেবে পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করাকে রহস্যজনক এবং সর্বমহলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, এসএসবির ফিটলিস্ট অনুযায়ী অনেক যোগ্য ও উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। এ ছাড়া আরও বেশকিছু কর্মকর্তার নাম ফিটলিস্টভুক্ত করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার দলীয়করণের মাধ্যমে গোটা প্রশাসনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। বার বার যোগ্য ও মেধাবি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা, অযোগ্য দলীয় লোকদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়ে রাখা, দলীয় লোকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া এবং পদের তিনগুণের বেশি পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনের ভারসাম্য ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বার বার পদোন্নতি বঞ্চিত হওয়ায় হতাশ হয়ে কয়েকজন যোগ্য কর্মকর্তা আত্মহত্যাও করেছে। যা জাতির জন্য খুবই লজ্জাস্কর।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন-তাদের দলই আগামীতে ক্ষমতায় আসবে। তার উদ্দেশে বলতে চাই-তাহলে কী আপনারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচনের নীল নকশা প্রস্তুত করে রেখেছেন?

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এতটাই মজা পেয়েছে যে, তারা আর সেই অবৈধ পথ ছাড়তে চাচ্ছেন না। ওবায়দুল কাদের সাহেবের এ বক্তব্যে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ও ষড়যন্ত্রের ক্ষণে ক্ষণে একটা নৈরাজ্যের কালো রাতের আভাস মেলে।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু এবারই এ দুঃশাসনের ঘন অন্ধকারের অবসান ঘটবে। মানুষের ঘৃণা-ধিক্কারে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা আর টিকে থাকতে পারবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচনের স্বপ্ন আর পূরণ হবে না। বিভিষিকাময় রক্তাক্ত প্রান্তর সৃষ্টি করে আর প্রধানমন্ত্রীত্ব করা যাবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাইরেও সাবেক সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, আইনজীবী, রাষ্ট্রদূত, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী যারা গুম হয়েছেন তাদের পরিবারও নিখোঁজ স্বজনদের অপেক্ষায় আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে দিন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সানাউল্লাহ মিয়া, আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।